খুলে যাচ্ছে সৌদি আরবের শ্রমবাজার। খুব শিগগিরই বাংলাদেশের শ্রমিকরা সৌদি আরব যেতে পারবেন। সৌদি আরব সফররত বাংলাদেশের প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন দেশটির শ্রমমন্ত্রীর কার্যালয়ে সোমবার সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাতের পর এ কথা জানিয়েছেন সে দেশের শ্রমমন্ত্রী আবদেল ফাকেহ।
বুধবার সৌদি শ্রমমন্ত্রীর বরাত দিয়ে দেশটির জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম আরব নিউজ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
২০০৮ সাল থেকে বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেওয়া বন্ধ রেখেছে সোদি আরব। তাই সৌদি সরকারের এ সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের শ্রমবাজারে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করা হচ্ছে। বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি শ্রমিক সৌদি আরবে কাজ করেন।
রোববার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সঙ্গে আলোচনার পর সৌদি শ্রমমন্ত্রী ফাকেহ বলেন, ‘বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগ প্রক্রিয়া পুনরায় চালু করতে যাচ্ছে সৌদি সরকার।’
ঢাকা থেকে দক্ষ শ্রমশক্তি নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশি শ্রমিকদের মান উন্নয়নে কার্যকরী পদ্ধতি ও প্রক্রিয়া গ্রহণ করা প্রয়োজন, যাতে উভয় দেশ লাভবান হয়। এ জন্য সৌদিতে আসার আগে স্ব স্ব কাজের ওপর কর্মীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করে তোলা উচিত।’
এছাড়া সৌদি আরবের উন্নতি আরো এগিয়ে নিতে দেশটিতে নিয়োজিত বিদেশি শ্রমিকদের মান ও দক্ষতা বাড়ানোর ওপরও জোর দেন তিনি।
কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে বিভিন্ন অনিয়মের কথা উল্লেখ করে বিষয়টি আরো স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতামূলক করার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন ফাকেহ।
জবাবে বাংলাদেশের মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন তাকে আশ্বস্ত করে বলেন, বিদেশে কাজ করতে ইচ্ছুক এমন ব্যক্তিদের একটি ডাটা সেন্টার তৈরি করেছে সরকার। এতে ২২ লাখের বেশি লোক নিবন্ধিত হয়েছেন। বিদেশে পাঠানোর জন্য কর্মীদের উন্নত প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে দক্ষ শ্রমিক মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া ও হংকংয়ে যাচ্ছেন বলেও সৌদি মন্ত্রীকে অবহিত করেন তিনি।
এছাড়া দুদেশের মধ্যকার পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নত থেকে উন্নতর পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারেও একমত পোষণ করেন দুই দেশের মন্ত্রীরা।
সতর্কবাণীঃ
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।
No comments:
Post a Comment