বিশ্বকাপে ভারত ৬: পাকিস্তান ০!!!!! - SongbadProtidin24Online.com

সর্বশেষ সংবাদ

SongbadProtidin24Online.com

সবার আগে নতুন সংবাদ প্রতিদিন

আপনার প্রতিষ্ঠানের জন্য বিজ্ঞাপন দিন

test banner

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Sunday, February 15, 2015

বিশ্বকাপে ভারত ৬: পাকিস্তান ০!!!!!


স্টার স্পোর্টসের ওই বিজ্ঞাপন কষ্টের প্রলেপ নিশ্চয় বাড়াবে পাকিস্তানি দর্শকদের। ‘মওকা...মওকা...’, নাহ্, এবারও ‘মওকা’টা কাজে লাগাতে পারল না পাকিস্তান, হলো না দর্শকদেরও পটকা ফাটানো! ১৯৯২, ১৯৯৬, ১৯৯৯, ২০০৩, ২০১১, ২০১৫...পরাজয়ের তালিকাটা বেড়েই চলেছে। অ্যাডিলেডে সাড়ে ৪৫ হাজার দর্শককে সাক্ষী রেখে পাকিস্তানকে ৭৬ রানে হারিয়ে বিশ্বকাপে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর বিপক্ষে ব্যবধানটা ৬-০ করে ফেলল টেন্ডুলকার-বিহীন ভারত!

টেন্ডুলকার ছিলেন না। তবে ছিলেন ‘নতুন টেন্ডুলকার’। বিরাট কোহলির ১০৭, সুরেশ রায়নার ৭৪ আর শিখর ধাওয়ানের ৭৩ রানের সৌজন্যে প্রথমে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ৩০০ রান তুলেছিল ভারত। জবাবে মিসবাহ উল হক ছাড়া আর কেউ সেভাবে দাঁড়াতেই পারেননি। ৪৭ ওভারে ২২৪ রানে অলআউট পাকিস্তান।

ইতিহাস বলছিল, বিশ্বকাপে ৩০১ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জেতার রেকর্ড নেই পাকিস্তানের। ১৯৯২ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২৬৩ ছিল তাদের সর্বোচ্চ রান তাড়া করার রেকর্ড। ইতিহাস আর এবার বিশ্বকাপের প্রথম তিনটি ম্যাচের জয়ের ধরনই বলছিল, ৩০১ রান করা পাকিস্তানের পক্ষে এভারেস্ট জয়ের সমান। কিন্তু অননুমেয় দল বলে সম্ভাবনাটা উড়িয়ে দেওয়ার উপায়ও ছিল না। তবে শেষমেশ মিসবাহর দল প্রমাণ করল বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তানের হারাটা তাদের ‘অমোঘ নিয়তি’।

চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর বিপক্ষে চিরায়ত স্নায়ুচাপ শুরু থেকেই জেঁকে বসেছিল পাকিস্তানের ওপর। দলীয় ১১ রানে মোহাম্মদ সামির বলে ফিরে গেলেন হঠাৎ ওপেনার বনে যাওয়া ইউনিস খান। এরপর হারিস সোহেল-আহমেদ শেহজাদের দ্বিতীয় উইকেটে ভালোই এগোচ্ছিল। এ জুটিতে এল ৬৮ রান। জুটি ভাঙলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। অশ্বিনের বলে রায়নার হাতে ক্যাচে পরিণত হওয়ার আগে সোহেল ফিরলেন ৩৬ রানে। এরপর পাকিস্তানের বেশ বড়সড় ধাক্কা। ১৭.৫ ওভারে ১ উইকেটে ৭৯ থেকে ৩৪.৪ ওভারে ৭ উইকেটে ১৫৪—৭৫ রানে ৬ উইকেটের পতন! অবশ্য এর মধ্যে ষষ্ঠ উইকেটে শহীদ আফ্রিদির সঙ্গে একটা লড়াই চালিয়েছিলেন মিসবাহ। এ জুটিতে আসে ৪৬ রান। সামির বলে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসার আগে আফ্রিদির সংগ্রহ ২২ রান।

অষ্টম উইকেটে ইয়াসির শাহকে নিয়ে বিরুদ্ধ স্রোতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন অধিনায়ক মিসবাহ। এ জুটিতে এল ৪৯ রান। একপর্যায়ে হার মানতেই হলো পাকিস্তান অধিনায়ককে। সামির বলে ফেরার আগে মিসবাহর সংগ্রহ ৮৪ বলে ৭৬। মিসবাহর বিদায়ের পর এক অর্থে নিশ্চিত হলো পাকিস্তানের পরাজয়। শেষ পর্যন্ত খুঁড়িয়ে চলা ইনিংসটা থামল ৪৭ ওভারে ২২৪ রানে। ভারতের পক্ষে দারুণ সাফল্য পেয়েছেন সামি। এ ডানহাতি পেসারের সংগ্রহে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট।

 ম্যাচের নায়ক অবশ্য কোহলি। বিশ্বকাপে এই প্রথম পাকিস্তানের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করলেন কোনো ভারতীয় ব্যাটসম্যান। ৩৪ রানে ভারত প্রথম উইকেট হারানোর পর কোহলি প্রথমে ধাওয়ানের সঙ্গে ১২৯, পরে রায়নার সঙ্গে গড়েন ১১০ রানের জুটি। সাম্প্রতিক সময়ে ওয়ানডে পারফর‍ম্যান্স ভালো না হলেও নিজেকে চেনাতে দারুণ এক ম্যাচই বেছে নিলেন ভারতীয় ব্যাটিং সেনসেশন।

সতর্কবাণীঃ
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ। 

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad

Responsive Ads Here