রাজধানীর মিরপুর-১১ নম্বর সেকশনে নিখোঁজ সুজন নামের সেই শিশুর সন্ধান মেলেনি। শুক্রবার রাতে ও শনিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই এলাকার ড্রেনে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল তল্লাশি চালায়। কিন্তু শিশুটিকে পাওয়া যায়নি।
শুক্রবার বেলা ১১টার পর থেকে শিশুটি নিখোঁজ হয়। তিন বছর বয়সী শিশুটি ওই এলাকার ৫ নম্বর এভিনিউতে মা ও বোনের সঙ্গে থাকত। বাসার কাছেই একটি ড্রেন আছে। পরিবারের সদস্যদের ধারণা, খেলতে গিয়ে সে ওই ড্রেনে পড়ে যেতে পারে।
ফায়ার সার্ভিসের মিরপুরের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আবদুল্লাহ আল আরেফিন শনিবার সন্ধ্যায় বলেন, ড্রেনটি মিরপুর-১২ থেকে বাইশটেক হয়ে ভাসানটেকে গেছে। ৫ নম্বর এভিনিউ এলাকায় ওই নালায় শিশুটি পড়েছে এমন ধারণা পরিবারের। শুক্রবার রাত ৮টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত প্রথম দফায় শিশুটির খোঁজে ড্রেনে অভিযান চালান ডুবুরিরা। দ্বিতীয় দফায় শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ডুবুরিরা ড্রেনে তল্লাশি চালান। সন্ধ্যায় আরও একটি টিম ওই ড্রেনে তল্লাশি চালায়। কিন্তু শিশুটিকে পাওয়া যায়নি। ড্রেনটি ময়লা-আবর্জনায় ভরা। পানির স্রোতও বেশি। ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরির পাশাপাশি উত্তর সিটি কর্পোরেশনের কর্মীরাও অভিযান চালান।
পল্লবী থানার ওসি দাদন ফকির জানান, সন্ধ্যা পর্যন্ত শিশুটিকে পাওয়া যায়নি। শিশুটি নিখোঁজের ব্যাপারে লিখিতভাবে থানায় কেউ অভিযোগ দেয়নি। তিনি বলেন, এরপরও শিশুটির সন্ধানে চেষ্টা করা হচ্ছে।
পুলিশ জানায়, শিশু সুজনের মা মোসাম্মৎ রুবী বিভিন্ন বাসায় কাজ করেন। রুবীর এক মেয়ে ও এক ছেলে। মেয়ের বয়স ৬ বছর। শুক্রবার সকালে ৬ বছর বয়সী মেয়ের কাছে সুজনকে রেখে তিনি কাজের জন্য বেরিয়ে যান। সন্ধ্যায় কাজ থেকে ফিরে দেখতে পান সুজন নেই। এরপর খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। পরে তিনি জানতে পারেন, বেলা ১১টা থেকে তাকে পাওয়া যাচ্ছে না। জুলাই মাসে সাত দিনের ব্যবধানে রাজধানীর মহাখালী ও মিরপুরে ড্রেনে পড়ে দুই শিশুর মৃত্যু হয়। এদের এক শিশু জুনায়েদ আহমেদ সাব্বির ও অপর শিশু সানজিদা।
সতর্কবাণীঃ এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।
No comments:
Post a Comment