ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনে সামাজিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটানো এবং রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলাসহ নানা গুরুতর অভিযোগে দেশে ব্যবহার হওয়া ২৮টি ফেসবুক পেজ বন্ধ করতে যাচ্ছে সরকার। সম্প্রতি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ফেসবুকের ওপর কঠোর নজরদারি করে দেশ ও জাতির জন্য ক্ষতিকর এমন ২৮টি পেজকে চিহ্নিত করে তার একটি তালিকা তৈরি করেছে। ওই তালিকাটি ধরে ব্যবস্থা নিতে সরকারের নীতিনির্ধারক মহলের কাছে পাঠানো হয়েছে।সূত্র জানায়, যেসব ফেসবুক পেজ বন্ধ করা যায় বলে গোয়েন্দারা তালিকা তৈরি করেছেন তার মধ্যে রয়েছে বাঁশের কেল্লা, দ্বিতীয় আলো, বিদ্রোহী আলো, বখতিয়ারের ঘোড়া, ফরায়েজী আন্দোলন, ব্রেকিং আঠারো দলীয় জোট, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, ভিশন ২০২১, ফ্রিডম অব স্পিস, বাংলাদেশ জামায়াত ই ইসলামী, বিডি ন্যাশনালিস্ট, ১৮ দলীয় জোট, শো নিউজ কম, লন্ডন বাংলা নিউজ, তরুণ প্রজন্ম উল্লেখযোগ্য। এই পেজগুলোর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ও সামাজিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগ রয়েছে।গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানান, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনে সামাজিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিতে ফেসবুক অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। কিছুদিন আগে পাবনা ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, ফেনীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ফেসবুকের মাধ্যমে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে অশ্লীল কুরুচিপূর্ণ ও ব্যঙ্গাত্মক চিত্র প্রকাশকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ও সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়। এ সময় অসংখ্য ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত ও বহু মানুষ আহত হন। সংখ্যালঘু নির্যাতনকে উসকে দিচ্ছে এসব ফেসবুক পেজ। ফেসবুকে আস্তিক ও নাস্তিক মতবাদকে কেন্দ্র করে সবসময় উত্তেজনা বিরাজ করছে যা যে কোনো সময় গুরুতর রূপ নিতে পারে। এই পেজগুলোর মধ্যে রয়েছে আস্তিক বনাম নাস্তিক-আয় দেখি কেমন পারিস হেঁ হেঁ, নাস্তিকেরা সব কোই গেলি? আয় তোগো সাথে কুতকুত খেলি, নাস্তিক মঞ্চ। পর্নোগ্রাফির অন্যতম মাধ্যম আজ এই ফেসবুক। ফেসবুকে বিভিন্ন পর্নোগ্রাফি বিষয়ক পেজ খুলে তাতে অশ্লীল তথ্য ও ছবি প্রকাশ করা হচ্ছে। বিভিন্ন সম্ভ্রান্ত ঘরের ছেলেমেয়েদের হেয় করার জন্য তাদের মোবাইল ফোন নম্বর ও ছবি সংগ্রহ করে তা আপলোড করা হচ্ছে। গোয়েন্দা তালিকায় পাঁচটি পর্নোগ্রাফি ও অশ্লীল ফেসবুক পেজ স্থান পেয়েছে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এইচএসসি বা এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করতে বা গুজব ছড়াতে ব্যবহার করা হয়েছে এমন তিনটি ফেসবুক পেজের খোঁজ পেয়েছে গোয়েন্দারা। গোয়েন্দা প্রতিবেদনের মন্তব্য কলামে উল্লেখ করা হয়েছে, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের ঘোষণাটি আসে ২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর। খুব দ্রুতই ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে পরিণত হয় একটি স্লোগান। এরই ধারাবাহিকতায় সারা দেশে তথ্য প্রযুক্তি খাতে বিপ্লব ঘটে। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা যায়, বাংলাদেশে ফেসবুক ব্যবহারকারী দিনকে দিন বাড়ছে। ফেসবুক নিঃসন্দেহে সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় সামাজিক নেটওয়ার্কিং মাধ্যম এবং বর্তমানে ফেসবুক দৈনন্দিন জীবনের একটি অত্যাবশ্যকীয় অংশ হিসেবে অবির্ভূত হয়েছে। ফলশ্রুতিতে ফেসবুক আমাদের বর্তমান সমাজকে বিশেষত তরুণ সমাজকে নানাভাবে প্রভাবিত করছে। কিন্তু সময়ের ধারাবাহিকতায় তরুণ সমাজ ফেসবুক ব্যবহারের মাধ্যমে জড়িয়ে পড়ছে বহুবিধ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে। তবে সাম্প্রতিককালে ফেসবুকের মাধ্যমে যেসব বিশৃঙ্খলা সমাজে ছড়িয়ে পড়ছে তাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশের রাজনৈতিক ও ধর্মীয় সংস্কৃতি। ফেসবুকের মাধ্যমে বর্তমানে সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে অপরাধ ছড়িয়ে পড়ছে। সূত্রে জানা যায়, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে হেয় প্রতিপন্ন করার ক্ষেত্রে ফেসবুকের চেয়ে বড় সামাজিক মাধ্যম আর নেই। শুধুমাত্র মিথ্যা ও ভ্রান্তিকর তথ্যই নয় বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের পারিবারিক ও সামাজিক জীবন নিয়ে কুরুচিপূর্ণ তথ্য ও চিত্র প্রকাশ যেন আজকাল নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। শুধু তাই নয় তাদের জীবননাশের হুমকিও দেওয়া হচ্ছে এসব মাধ্যমে। সরকারবিরোধী মহল বিভিন্ন জঙ্গিবাদী ও উগ্রবাদী গোষ্ঠী বেনামে এসব কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এসব কার্যক্রম শুধুমাত্র দেশবাসীকেই বিভ্রান্ত করছে তা নয় বহিঃবিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত করছে। জঙ্গিবাদ দমনে বর্তমান সরকারের ভূমিকা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয় কিন্তু সেই জঙ্গিবাদের পুনঃজাগরণের ব্যাপক অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে এই ফেসবুকের মাধ্যমে। দেশ ও জাতিকে জঙ্গিবাদ, উগ্রবাদ, দাঙ্গা হাঙ্গামা, সাম্প্রদায়িকতা, প্রতারণা ও পর্নোগ্রাফির হাত থেকে রক্ষা করতে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সরকারি যথাযথ কর্তৃপক্ষের চুক্তি সম্পাদন করা আবশ্যক। নতুবা ফেসবুকের অনুপ্রবেশ বাংলাদেশে বন্ধ করা আবশ্যক বলেও মনে করেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিরা।
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনে সামাজিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটানো এবং রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলাসহ নানা গুরুতর অভিযোগে দেশে ব্যবহার হওয়া ২৮টি ফেসবুক পেজ বন্ধ করতে যাচ্ছে সরকার। সম্প্রতি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ফেসবুকের ওপর কঠোর নজরদারি করে দেশ ও জাতির জন্য ক্ষতিকর এমন ২৮টি পেজকে চিহ্নিত করে তার একটি তালিকা তৈরি করেছে। ওই তালিকাটি ধরে ব্যবস্থা নিতে সরকারের নীতিনির্ধারক মহলের কাছে পাঠানো হয়েছে।সূত্র জানায়, যেসব ফেসবুক পেজ বন্ধ করা যায় বলে গোয়েন্দারা তালিকা তৈরি করেছেন তার মধ্যে রয়েছে বাঁশের কেল্লা, দ্বিতীয় আলো, বিদ্রোহী আলো, বখতিয়ারের ঘোড়া, ফরায়েজী আন্দোলন, ব্রেকিং আঠারো দলীয় জোট, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, ভিশন ২০২১, ফ্রিডম অব স্পিস, বাংলাদেশ জামায়াত ই ইসলামী, বিডি ন্যাশনালিস্ট, ১৮ দলীয় জোট, শো নিউজ কম, লন্ডন বাংলা নিউজ, তরুণ প্রজন্ম উল্লেখযোগ্য। এই পেজগুলোর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ও সামাজিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগ রয়েছে।গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানান, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনে সামাজিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিতে ফেসবুক অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। কিছুদিন আগে পাবনা ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, ফেনীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ফেসবুকের মাধ্যমে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে অশ্লীল কুরুচিপূর্ণ ও ব্যঙ্গাত্মক চিত্র প্রকাশকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ও সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়। এ সময় অসংখ্য ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত ও বহু মানুষ আহত হন। সংখ্যালঘু নির্যাতনকে উসকে দিচ্ছে এসব ফেসবুক পেজ। ফেসবুকে আস্তিক ও নাস্তিক মতবাদকে কেন্দ্র করে সবসময় উত্তেজনা বিরাজ করছে যা যে কোনো সময় গুরুতর রূপ নিতে পারে। এই পেজগুলোর মধ্যে রয়েছে আস্তিক বনাম নাস্তিক-আয় দেখি কেমন পারিস হেঁ হেঁ, নাস্তিকেরা সব কোই গেলি? আয় তোগো সাথে কুতকুত খেলি, নাস্তিক মঞ্চ। পর্নোগ্রাফির অন্যতম মাধ্যম আজ এই ফেসবুক। ফেসবুকে বিভিন্ন পর্নোগ্রাফি বিষয়ক পেজ খুলে তাতে অশ্লীল তথ্য ও ছবি প্রকাশ করা হচ্ছে। বিভিন্ন সম্ভ্রান্ত ঘরের ছেলেমেয়েদের হেয় করার জন্য তাদের মোবাইল ফোন নম্বর ও ছবি সংগ্রহ করে তা আপলোড করা হচ্ছে। গোয়েন্দা তালিকায় পাঁচটি পর্নোগ্রাফি ও অশ্লীল ফেসবুক পেজ স্থান পেয়েছে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এইচএসসি বা এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করতে বা গুজব ছড়াতে ব্যবহার করা হয়েছে এমন তিনটি ফেসবুক পেজের খোঁজ পেয়েছে গোয়েন্দারা। গোয়েন্দা প্রতিবেদনের মন্তব্য কলামে উল্লেখ করা হয়েছে, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের ঘোষণাটি আসে ২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর। খুব দ্রুতই ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে পরিণত হয় একটি স্লোগান। এরই ধারাবাহিকতায় সারা দেশে তথ্য প্রযুক্তি খাতে বিপ্লব ঘটে। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা যায়, বাংলাদেশে ফেসবুক ব্যবহারকারী দিনকে দিন বাড়ছে। ফেসবুক নিঃসন্দেহে সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় সামাজিক নেটওয়ার্কিং মাধ্যম এবং বর্তমানে ফেসবুক দৈনন্দিন জীবনের একটি অত্যাবশ্যকীয় অংশ হিসেবে অবির্ভূত হয়েছে। ফলশ্রুতিতে ফেসবুক আমাদের বর্তমান সমাজকে বিশেষত তরুণ সমাজকে নানাভাবে প্রভাবিত করছে। কিন্তু সময়ের ধারাবাহিকতায় তরুণ সমাজ ফেসবুক ব্যবহারের মাধ্যমে জড়িয়ে পড়ছে বহুবিধ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে। তবে সাম্প্রতিককালে ফেসবুকের মাধ্যমে যেসব বিশৃঙ্খলা সমাজে ছড়িয়ে পড়ছে তাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশের রাজনৈতিক ও ধর্মীয় সংস্কৃতি। ফেসবুকের মাধ্যমে বর্তমানে সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে অপরাধ ছড়িয়ে পড়ছে। সূত্রে জানা যায়, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে হেয় প্রতিপন্ন করার ক্ষেত্রে ফেসবুকের চেয়ে বড় সামাজিক মাধ্যম আর নেই। শুধুমাত্র মিথ্যা ও ভ্রান্তিকর তথ্যই নয় বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের পারিবারিক ও সামাজিক জীবন নিয়ে কুরুচিপূর্ণ তথ্য ও চিত্র প্রকাশ যেন আজকাল নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। শুধু তাই নয় তাদের জীবননাশের হুমকিও দেওয়া হচ্ছে এসব মাধ্যমে। সরকারবিরোধী মহল বিভিন্ন জঙ্গিবাদী ও উগ্রবাদী গোষ্ঠী বেনামে এসব কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এসব কার্যক্রম শুধুমাত্র দেশবাসীকেই বিভ্রান্ত করছে তা নয় বহিঃবিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত করছে। জঙ্গিবাদ দমনে বর্তমান সরকারের ভূমিকা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয় কিন্তু সেই জঙ্গিবাদের পুনঃজাগরণের ব্যাপক অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে এই ফেসবুকের মাধ্যমে। দেশ ও জাতিকে জঙ্গিবাদ, উগ্রবাদ, দাঙ্গা হাঙ্গামা, সাম্প্রদায়িকতা, প্রতারণা ও পর্নোগ্রাফির হাত থেকে রক্ষা করতে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সরকারি যথাযথ কর্তৃপক্ষের চুক্তি সম্পাদন করা আবশ্যক। নতুবা ফেসবুকের অনুপ্রবেশ বাংলাদেশে বন্ধ করা আবশ্যক বলেও মনে করেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিরা।
No comments:
Post a Comment