সৌদি সরকার পুরো হজ কার্যক্রম অনলাইনের আওতায় নিয়ে আসায় নতুন নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে বাংলাদেশিদেরও।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব জাহাঙ্গীর আলম মঙ্গলবার জানান, সৌদি সরকার বাংলাদেশের ধর্মমন্ত্রীকে অনলাইনে হজ ব্যবস্থাপনা নিয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন। সেই চিঠিতে এ ধরনের নির্দেশনা এসেছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, প্রত্যেক এজেন্সিকে আবশ্যিকভাবে সৌদি আরবে ব্যাংক হিসাব খুলতে হবে। বাড়ি ভাড়া ও খাবারসহ আনুষঙ্গিক ব্যয়ও পরিশোধ করতে হবে ওই হিসাবের মাধ্যমে।
মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, অন্য বছর সৌদি আরবের সঙ্গে হজ চুক্তির পরেই হজের কার্যক্রম শুরু হতো। কিন্তু ২০১৫ সালে যারা হজে যাবেন তাদের বিষয়ে যাবতীয় তথ্য হজ চুক্তির আগেই সৌদি সরকারকে অনলাইনে জানাতে হবে।
হজ নিয়ে বৃহস্পতিবার ধর্ম মন্ত্রণালয়ে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় আগামী বছরের হজের বিষয়গুলো চূড়ান্ত হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানান জাহাঙ্গীর।
আগামী ৬/৭ ফেব্রুয়ারি সৌদি সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশের হজচুক্তি হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের হজ এজেন্সিগুলোর অনলাইনে নিবন্ধন করার পর সৌদি সরকারের কাছ থেকে একটি আইডি নম্বর ও পাসওয়ার্ড পাবে। বাংলাদেশ ৮৩৫টি হজ এজেন্সি রয়েছে।
ওই কর্মকর্তা বলেন, “হজ কার্যক্রম অনলাইনে আসার আগামী জানুয়ারি মাসের মধ্যেই হজে যেতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের নাম-ঠিকানা দিয়ে অনলাইনে যাবতীয় তথ্য পূরণ করতে হবে। নির্দিষ্ট তথ্য-উপাত্ত দেওয়ার পর অনলাইনে বিভিন্ন ক্যাটাগরি লাল থেকে সবুজ রঙ ধারণ করলে নির্দিষ্ট এজেন্সির বিপরীতে ভিসা ইস্যু করা হবে।”
সতর্কবাণীঃ
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।
No comments:
Post a Comment