তিনি বলেন, এখানে একপক্ষ জিতবে অন্যপক্ষ নিঃস্ব হয়ে যাবে। যারা জিতবে তাঁদের কাছে ম্যান্ডেটের লাইসেন্স আছে। তাই তারা যেকোন কিছু করতে দ্বিধা করে না।
রোববার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ‘দ্য শেফ অব পলিটিক্যাল ভায়োল্যান্স ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, আজ সারাদেশের মানুষ অনিচ্ছা সত্ত্বেও তাদের জীবন দিতে বাধ্য হচ্ছে। কেউ চায় না তার জীবন এভাবে ঝলসে যাক। তারা অনিচ্ছা সত্ত্বেও রক্ত দিচ্ছে। এর মূল কারণ রাজনীতিবীদদের নষ্ট চিন্তা ভাবনা।
ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, আমাদের দেশ রাজনৈতি দিক থেকে অনুন্নত। অর্থনৈতিকভাবে উন্নয়নশীল। যে রাষ্ট্র রাজনৈতিক দিক থেকে অনুন্নত সে রাষ্ট্রে সহিংসতা ও অস্থিরতা হতে বাধ্য। বাংলাদেশ কখনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নয়। এটি গণতন্ত্রায়নের রাষ্ট্র। আমাদের গণতন্ত্র হচ্ছে কেতাবে আছে গোয়ালে নেই। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিযোগিতার পরিবর্তে চলছে প্রাতিষ্ঠানিক সহিংসতা। যতদিন দেশ সহিংসতা মুক্ত হবে না ততদিন গণতন্ত্র আসবে না।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. তানজিমউদ্দিন খান বলেন, গবেষণার ধরণ রাজনৈতিক ইতিহাস না হয় হতে হবে রাজনৈতিক সংঘাত। আর পত্রিকাগুলোকে তাদের বিভিন্ন মতাদর্শগত ধারা বাদ দিয়ে বাস্তবচিত্র নিয়ে গবেষণা বাড়াতে হবে। দেশে যে দলই ক্ষমতাই আসুক না কেন সবাই বিরোধীদলকে বিভিন্ন মামলা হামলা দিয়ে কোনঠাসা করে রাখে। যার কারণে তারা গুপ্ত হামলাসহ নানা সহিংসতা বৃদ্ধি করে। যা দেশকে অনিবার্য সংঘাতের দিকে ঠেলে দেয়।
সেমিনার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলাম, বেলজিয়ামের জেন্ট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. বার্ট সুইক্যান্স।
সতর্কবাণীঃ
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।
No comments:
Post a Comment