ভারতের দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে পরাজয় স্বীকার করে নিয়েছেন নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে কেন্দ্রের ক্ষমতায় আসা ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
এনডিটিভি অনলাইনের প্রতিবেদনে জানানো হয়, দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের ভোট গণনা আজ মঙ্গলবার সকালে শুরু হয়েছে। স্থানীয় সময় সকাল আটটা থেকে ভোট গণনা শুরু হয়। সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ ফলাফলের চিত্র স্পষ্ট হয়ে উঠতে থাকে।
সর্বশেষ পাওয়া ফলাফলে বিপুল ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি (এএপি)। এএপির প্রতীক ঝাড়ু। ঝাড়ুর কাছে নাকানিচুবানি খেয়ে ভরাডুবির পথে বিজেপি।
একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার দিকে এগিয়ে যাওয়া এএপির প্রধান কেজরিওয়ালকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মোদি। টুইটারে দেওয়া বার্তায় তিনি লিখেছেন, ‘অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গে কথা বলেছি। জয়ের জন্য তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছি। দিল্লির উন্নয়নে কেন্দ্র তাঁকে পুরোপুরি সমর্থন দেবে বলে নিশ্চয়তা দিয়েছি।’
দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী পদে বিজেপির প্রার্থী একসময়ের ডাকসাইটে পুলিশ কর্মকর্তা কিরণ বেদিও টুইটারে দেওয়া বার্তায় কেজরিওয়ালকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ অধিকাংশ কেন্দ্রের ফলাফল পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী নির্বাচন কমিশন। ফলাফল আজই জানা যাবে।
এনডিটিভি অনলাইনের প্রতিবেদনে জানানো হয়, ৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ৭০ আসনের দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের সর্বশেষ পাওয়া ফলাফলে এএপি এগিয়ে ৬৪ আসনে। বিজেপি এগিয়ে পাঁচটি আসনে। অন্য দল এগিয়ে একটিতে।
টাইমস অব ইন্ডিয়া অনলাইনের প্রতিবেদনেও একই তথ্য জানানো হয়েছে।
সর্বশেষ পাওয়া ফলাফলে কোনো আসনেই কংগ্রেস এগিয়ে নেই।
দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে এএপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে যাচ্ছে বলে আগেই কেন্দ্রফেরত একাধিক জরিপে আভাস দেওয়া হয়। অভ্যন্তরীণ খবরের ভিত্তিতে এএপি ধারণা করছিল, তারা ৫০ আসনের কম পাবে না। জয়ের আগাম আভাসে দলটির স্বেচ্ছাসেবক ও সমর্থকেরা ইতিমধ্যে উল্লাসে মেতে উঠেছেন।
কেন্দ্রফেরত জরিপে বিজেপিকে দেওয়া হয়েছিল ২৬ আসন। জরিপের এই অনুমান প্রত্যাখ্যান করে বিজেপি ও দলটির মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী কিরণ বেদি। বিজেপির ধারণা ছিল, তারা ৩৪ থেকে ৩৮টি
আসন পাবে।
গত বছর কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন সংযুক্ত প্রগতিশীল মোর্চাকে বিশাল হারের লজ্জায় ডুবিয়ে কেন্দ্রের ক্ষমতায় আসে বিজেপি। সে হিসেবে মধুচন্দ্রিমার সময় পার করছে মোদি সরকার। এর মধ্যে দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে বড় একটা ধাক্কা খেল বিজেপি ও মোদি। যতটা জনপ্রিয়তা নিয়ে মোদি ক্ষমতায় এসেছেন, তার কতটা এখন আছে, দিল্লির নির্বাচনের মধ্য দিয়ে তার একটা আভাস মিলেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
দিল্লি বিধানসভার গত নির্বাচনে একক বৃহত্তম দল হিসেবে এএপি কংগ্রেসের সমর্থনে সরকার গঠন করে। তবে মাত্র ৪৯ দিনের মাথায় কেজরিওয়ালের সেই সরকার পদত্যাগ করে। সেটি ভুল ছিল উল্লেখ করে এবার তিনি ভোটারদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, নির্বাচিত হলে এমনটা
আর হবে না।
সতর্কবাণীঃ
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।
No comments:
Post a Comment