চিত্রনায়ক সালমান শাহের মৃত্যু রহস্য উদঘাটনের জন্য র্যাবকে পুনর্তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আগামী ১২ এপ্রিলের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
সালমান শাহের মৃত্যুর বিষয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্তের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে নারাজি দিয়েছেন তার মা নীলুফার চৌধুরী ওরফে নীলা চৌধুরী। নারাজির শুনানি শেষে এ আদেশ দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাহাঙ্গীর হোসেনের আদালত।
বেলা ১১টার পরে নারাজি দাখিল করেন নীলা চৌধুরী। তার নারাজিতে উল্লেখ করা হয়েছে, আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ ১১ জন তার ছেলে সালমান শাহের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন।
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মারা যান চলচ্চিত্র নায়ক চৌধুরী মোহাম্মদ শাহরিয়ার (ইমন) ওরফে সালমান শাহ। সে সময় এ বিষয়ে অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেছিলেন তার বাবা প্রয়াত কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী।
পরে ১৯৯৭ সালের ২৪ জুলাই ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে অভিযোগ করে মামলাটিকে হত্যা মামলায় রূপান্তরিত করার আবেদন জানান তিনি। অপমৃত্যুর মামলার সঙ্গে হত্যাকাণ্ডের অভিযোগের বিষয়টি এক সঙ্গে তদন্ত করতে সিআইডিকে নির্দেশ দেন আদালত। সালমান শাহের মৃত্যুর ঘটনাটি তদন্ত করে ১৯৯৭ সালের ৩ নভেম্বর আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় সিআইডি।
চূড়ান্ত প্রতিবেদনে সালমান শাহের মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে উল্লেখ করা হয়। ২৫ নভেম্বর ঢাকার সিএমএম আদালতে ওই চূড়ান্ত প্রতিবেদন গৃহীত হয়। সিআইডি’র প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে তার বাবা কমর উদ্দিন আহমদ চৌধুরী রিভিশন মামলা দায়ের করেন।
২০০৩ সালের ১৯ মে মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তে পাঠান আদালত। এরপর প্রায় ১২ বছরে মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তে ছিল। দীর্ঘদিন ধরে বাদীপক্ষ আদালতে সাক্ষী হাজির না করায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল বিলম্বিত হয়।
অবশেষে গত বছরের ৩ আগস্ট ঢাকার সিএমএম বিকাশ কুমার সাহার কাছে বিচার বিভাগীয় তদন্তের প্রতিবেদন দাখিল করেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইমদাদুল হক। এ প্রতিবেদনে সালমান শাহের মৃত্যুকে অপমৃত্যু হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
মামলার বাদী সালমান শাহের বাবা কমর উদ্দিন আহমদ চৌধুরী মারা যাওয়ায় গত বছরের ২১ ডিসেম্বর প্রতিবেদনটি প্রত্যাখ্যান করে নারাজি দেবেন বলে আদালতকে জানান তার মা নীলা চৌধুরী। আদালত নারাজি দাখিলের জন্য ৫ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন।
তবে গত ৫ ফেব্রুয়ারি নারাজি দিতে আরও সময় চেয়েছিলেন নীলা চৌধুরী। ওইদিন সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে মঙ্গলবার (১০ ফেব্রুয়ারি) নারাজি দাখিলের দিন পুনর্নির্ধারণ করেন আদালত।
সতর্কবাণীঃ
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।
No comments:
Post a Comment