নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান বলেছেন, ‘বাঘের চামড়া শিয়ালের গায়ে পরালেও শিয়াল শিয়ালই থাকবে, বাঘ হবে না। তেমনি আমি মন্ত্রী হলেও এখনও একজন শ্রমিক।’
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানী সিরডাপ
মিলনায়তনে কর্মজীবী নারী আয়োজিত ‘ট্রেড ইউনিয়নকে কার্যকর করতে নারীর
অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করুন’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন।
শাহজাহান খান বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনৈতিক
প্রেক্ষাপটে যখন যে সরকার ক্ষমতায় আসে তখন ওই ক্ষমতাসীন দলের শ্রমিক নেতারা
শ্রমিকদের ইউনিয়নগুলো দখল করে। আর তারা শ্রমিক সংগঠনগুলোতে চাঁদাবাজি
করতেই এসব সংগঠন দখল করে।’
শ্রমিকদের রক্ত চুষে খাওয়ার জন্যই কলকারখানায় মালিকরা ‘আউট সোর্সিং’ চালু করার কথা বলছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।
শ্রমিকদের জন্য ট্রেড ইউনিয়ন ব্যবস্থা
সুনিশ্চিত হচ্ছে না মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, ‘শ্রমিক সংগঠনগুলোতে নেতৃত্ব
সুপ্রতিষ্ঠিত করতে হবে। আর এক্ষেত্রে যদি আমরা নারীদের অবহেলা করি এবং
নারীদের দলীয়করণে আবদ্ধ করে রাখি তাহলে নারী নেতৃত্ব তৈরি হবে না। নারী
নেতৃত্ব তৈরি না হলে ট্রেড ইউনিয়ন বাস্তবায়নে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াবে।’
বাংলাদেশে ৫২টি শ্রমিক সংগঠন আছে উল্লেখ
করে তিনি বলেন, ‘এই সংগঠনগুলো এক মত ও এক দর্শনে কাজ করে না। এর ফলে
শ্রমিকরা তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বারবার বঞ্চিত হচ্ছে।’
‘শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আমরা
ঐক্যবদ্ধ’ কর্মজীবী নারীদের এই স্লোগানের সঙ্গে একমত পোষণ করে তিনি বলেন,
‘আমি আপনাদের স্লোগানকে সমর্থন দিচ্ছি। তবে আপনাদের কাছে আমার একটি
প্রস্তাব রয়েছে, কর্মজীবী নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আমরা ঐক্যবদ্ধ, এই
স্লোগান নিয়ে আপনারা কাজ করতে পারেন।’ এ সময় শ্রমিকদের একটি প্লাটফর্মে
আসার জন্য্ আহ্বান জানান শাহজাহান খান।
আয়োজক সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া
রফিকের সভাপতিত্বে সেমিনারে সংসদ সদস্য শিরীন আক্তার, শ্রমিক ইউনিয়নের
প্রতিনিধি আজিজুর রহমান আজিজ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সতর্কবাণীঃ
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।
No comments:
Post a Comment