মাশরাফির বীরত্বে কুমিল্লার জয় !!!!! - SongbadProtidin24Online.com

সর্বশেষ সংবাদ

SongbadProtidin24Online.com

সবার আগে নতুন সংবাদ প্রতিদিন

আপনার প্রতিষ্ঠানের জন্য বিজ্ঞাপন দিন

test banner

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Tuesday, November 24, 2015

মাশরাফির বীরত্বে কুমিল্লার জয় !!!!!


মাশরাফি বিন মুর্তজার ক্যাপ্টেন্স নক দেখলো বিপিএল। আর তাতে চিটাগাং ভিক্টোরিয়ান্সকে রোমাঞ্চকর ম্যাচে হারিয়ে বিপিএলে প্রথম জয় তুলে নিলো কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। চিটাগাংকে ৭ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটে হারিয়েছে কুমিল্লা।

টস হেরে আগে ব্যাট করে ৪ উইকেটে ১৭৬ রান তোলে চিটাগাং। আগের দুই ম্যাচের মতো বড় স্কোর তাদের। কিন্তু ৩২ বলে মাশরাফি খেলেছেন ৫৬ রানের অপরাজিত ইনিংস। মারলন স্যামুয়েলসও ম্যাচ জেতানো ৫২ বলের ৬৯ রানের ইনিংস খেলেছেন। অবিচ্ছিন্ন চতুর্থ উইকেটে তাদের ১২৩ রানের জুটি দলকে দিয়েছে চমৎকার জয়। তিন ম্যাচে দুটিতে হারলো চিটাগাং।

মোহাম্মদ আমিরকে বাউন্ডারি মেরে খেলা শেষ করেছেন মাশরাফি। তবে আমিরই কুমিল্লার ১০ রানের মধ্যে দুই ওপেনার ইমরুল কায়েস (০) ও লিটন দাসকে (৯) তুলে নেন। এরপর ৪৪ রানের জুটি হয় শুভাগত হোম (১৬ বলে ৩০) ও স্যামুয়েলসের মধ্যে।

শুভাগত ফেরার পর ব্যাট হাতে নেমে চমকে দেন মাশরাফি। আগের ম্যাচে ভালো ব্যাট করেছেন। এই ম্যাচে আরো ভালো করলেন। প্রথম থেকেই আক্রমণ করে খেলেছেন। সেই তুলনায় কম আক্রমণ করেছেন স্যামুয়েলস। তবে ৩৪ রানের সময় চিটাগাংয়ের ফিল্ডার ক্যাচ ছাড়ায় বেঁচে গেছেন মাশরাফি।

শেষের তিন ওভারে ৩০ রান দরকার কুমিল্লার। স্যামুয়েলস ১৮তম ওভারে শফিউল ইসলামকে দুটি চার ও একটি ছক্কা মারলেন। ওই ওভার থেকে ১৮ রান এলে জয়ের কাছে পৌঁছে যায় কুমিল্লা। ওই ওভারে স্যামুয়েলসের ক্যাচ পড়লেও ম্যাচ ততক্ষণে কুমিল্লার প্রায় হাতের মুঠোয়। মাশরাফির ইনিংসে ৪টি চার ও ৩টি ছক্কা। স্যামুয়েলস মেরেছেন ৮টি চার ও ১টি ছক্কা। মাশরাফি ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার পেয়েছেন। 

এর আগে জিয়াউর রহমানের ঝড়ো ইনিংস, এনামুল হকের চমৎকার ইনিংস বড় সংগ্রহই দিয়েছিল চিটাগাংকে। ১৬তম ওভারে নামেন জিয়া। ১৯তম ওভারে আবু হায়দারকে তিনটি ছক্কা ও একটি বাউন্ডারি মারেন তিনি। ওই ওভারে উঠে আসে ২৪ রান। ১৬ বলে ২টি চার ও তিনটি ছক্কায় ৩৯ রানে অপরাজিত থাকেন জিয়া। এনামুল হকের সাখে পঞ্চম উইকেটে ৫৩ রানের জুটি গড়েছেন তিনি। দলের ভালো সংগ্রহে এনামুলেরও আছে চমৎকার ভূমিকা। ৩০ বলে চার বাউন্ডারিতে ৩৯ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।

এনামুল ও ইয়াসির আলি চতুর্থ উইকেটে ৩৯ রানের জুটি গড়ে দলের ধস থামিয়েছিলেন। ইয়াসির ১৮ বলে ২২ রান করেছেন। ২১ রানে তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছিল চিটাগাং।

তামিম ইকবাল ও তিলকারত্নে দিলশান ওপেন করে এনে দিয়েছেন ৬৩ রান। ষষ্ঠ ওভারে বল করতে এসে আফগানিস্তানের বাঁ হাতি স্পিনার আশার জাইদি দিলশান ও তামিমের আক্রমণের মুখে পড়েছিলেন। দুই ব্যাটসম্যানকেই ১৩ রানের ব্যবধানে আউট করেছেন জাইদি। দিলশান ২১ বলে করেছেন ৩৬ রান। মনে হচ্ছিল, আগের দুই ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও ফিফটি পার হবেন তামিম। কিন্তু জাইদি তা হতে দেননি। ৩১ বলে ৩৩ রান করেন তামিম।

তামিমকে হারানোর ধাক্কা সামলে ওঠার আগেই আরেক ধাক্কা খায় চিটাগাং। এবার কুমিল্লার অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা আঘাত হানেন। ২ রান করা চামারা কাপুগেদারাকে বোল্ড করে দেন তিনি। এরপর এনামুল, ইয়াসির ও জিয়া দলের সংগ্রহ বড় করেছেন।

সতর্কবাণীঃ
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad

Responsive Ads Here