অবশেষে খুললো সামাজিক যোগাযোগের জনপ্রিয় মাধ্যম ফেসবুক। বন্ধ হওয়ার ২৩ দিন পর বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে ওয়েবসাইটটি খুলে দেওয়া হয়। দুপুর ২টা ২৫ মিনিট থেকে সারাদেশের ফেসবুক ব্যবহারকারীরা তাদের ডেস্কটপ-ল্যাপটপ-ট্যাব-স্মার্টফোনে মাধ্যমটি সচল দেখতে পান।
এর আগে, দুপুরে সচিবালয়ে ফেসবুক খুলে দেওয়ার কথা জানান ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতিক্রমে ফেসবুক খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে হোয়াটসঅ্যাপ, ভাইবার, ইমোসহ অন্য মাধ্যমগুলো বন্ধ থাকবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পেলে সেসব মাধ্যমও খুলে দেওয়া হবে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে চলাকালেই বিটিআরসি চেয়ারম্যানকে ফোন করে ফেসবুক খুলে দেওয়ার নির্দেশ দেন তারানা হালিম।
এ নিয়ে প্রতিমন্ত্রীর নির্দেশনার পরপরই সংশ্লিষ্ট ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও অপারেটদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান প্রকৌশলী শাহজাহান মাসুদ। তাদের বৈঠকের পরপরই খুলে যায় বন্ধ থাকা ফেসবুক।
একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী সালাহউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আগে নিরাপত্তা ইস্যুতে গত ১৮ নভেম্বর ফেসবুক বন্ধ করে দেয় সরকার। সেই সঙ্গে বন্ধ করে দেওয়া হয় ফেসবুক ম্যাসেঞ্জার, ভাইবার ও হোয়াটসঅ্যাপও। ২১ নভেম্বর রাতে দুই যুদ্ধাপরাধীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার পর সরকারের পক্ষ থেকে ফেসবুকের আপত্তিকর আধেয় ও ব্যবহার নিয়ে নিরাপত্তা ঝুঁকির কথা বলা হয়।
এরপর গত ৬ ডিসেম্বর এ নিয়ে মাধ্যমটির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন সরকারের তিন মন্ত্রী। তাদের বৈঠকের পর জানানো হয়, ফেসবুকের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। শিগগির এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। এরইমধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে কয়েক দফায় ফেসবুক খুলে দেওয়ার আভাস দেওয়া হয়।
অবশেষে বৃহস্পতিবার মাধ্যমটি খোলার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী।
সতর্কবাণীঃ
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।
No comments:
Post a Comment