জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্ত চিত্রপরিচালক শহীদুল ইসলাম খোকনকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় রাজধানীর বাংলাদেশ মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে তিনি লাইফ সাপোর্টে আছেন বলে তার পরিবার সূত্রে জানা গেছে।
শরীরে জ্বর থাকায় আজ ৩১ ডিসেম্বর সকালে তাকে বাংলাদেশ মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। ডাক্তার প্রথমে তাকে সিসিউতে রাখেন। পরে তার হার্ট অ্যাটাক হলে আইসিউতে লাইফ সার্পোটে রাখা হয়। রাইজিংবিডিকে এমনটাই জানান তার ভাইয়ের ছেলে রনি।
রনি আরো জানান, বহুদিন ধরে ‘মটর নিউরো ডিজিস’ (এএলএস)-এ আক্রান্ত এই গুনী নির্মাতা।
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া ম্যাডাম ফুলি সিনেমাটির এ নির্মাতা অভিনেতা ও প্রযোজক মাসুদ পারভেজ সোহেল রানার সহকারি হিসেবে চলচ্চিত্রাঙ্গনে যুক্ত হন। টানা দশ বছর তিনি সোহেল রানার সহকারি হিসেবে কাজ করেন। রক্তের বন্দী চলচ্চিত্রের মাধ্যমে খোকন তার পরিচালনার অধ্যায় শুরু করেন। কিন্তু ছবিটি সাফল্য অর্জন করতে পারেনি। তার পরিচালিত দ্বিতীয় ছবিটিও ব্যর্থ হয়।
এরপর সোহেল রানার ছোট ভাই রুবেলকে নিয়ে খোকন তৈরী করেন লড়াকু। এ ছবিটির মাধ্যমে বাজিমাত করেন খোকন। তারপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে।
মার্শাল আর্ট এবং অ্যাকশন ধর্মী চলচ্চিত্র নির্মাণ করে খোকন বাংলা চলচ্চিত্রে অনেক নতুন মুখ উপহার দেন তিনি। এদের মধ্যে ড্যানি সিডাক, সিরাজ পান্না, ইলিয়াস কোবরা, চিত্রনায়িকা শিমলা, হুমায়ূন ফরিদী অন্যতম। সমাজের নানা অসঙ্গতীকে রুপালি পর্দায়ি চিত্রায়নের পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির অপচেষ্টাকে খোকন তার চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন।
তার জনপ্রিয় সিনেমাগুলো হল ঘাতক, পালাবি কোথায়, লাল সবুজ, ম্যাডাম ফুলি, ভণ্ড, লড়াকু, বীরপুরুষ, বজ্রমুষ্ঠি, বিপ্লব, অকর্মা, সতর্ক শয়তান, বিষদাঁত, টপ রংবাজ, উত্থান পতন ইত্যাদি।
সতর্কবাণীঃ এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।
No comments:
Post a Comment