পৃথিবীতে অনেক কিছুই ব্যতিক্রম থাকে। তাই বলে রায়ান ক্যাম্পবেলের মতো ব্যতিক্রম হওয়াটাও এক ধরনের ব্যতিক্রম। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা ক্যাম্পবেল এখন টি-২০ বিশ্বকাপ খেলছেন হংকংয়ের হয়ে।৪৪ বছর ১ মাস বয়সে অভিষেক হওয়ায় সবচেয়ে বেশি বয়সী অভিষিক্ত ক্রিকেটারও তিনি।
ব্যতিক্রম এখানেই শেষ নয়। অস্ট্রেলিয়ার
পার্থে জন্মগ্রহণ করা ক্যাম্পবেলের হংকং দলে ভূমিকাটাও ব্যতিক্রম। একই
সঙ্গে দলে কোচের ও খেলোয়াড়ের দায়িত্ব পালন করছেন। হংকংয়ের উইকেটরক্ষক ও
ব্যাটসম্যানের দায়িত্ব পালনের সঙ্গে ব্যাটিং কোচের দায়িত্বও পালন করে থাকেন
তিনি।
১৯৯৭-৯৮ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া-এ দলের পক্ষে প্রথমবারের মতো খেলেন ও দলের সাথে আয়ারল্যান্ড এবং স্কটল্যান্ড সফরে যান ক্যাম্পবেল।
২০০২ সালে অস্ট্রেলিয়া দলের পক্ষে
কেবলমাত্র দু'টি একদিনের আন্তর্জাতিকে খেলার সুযোগ পেয়েছেন তিনি।
জানুয়ারি, ২০০২ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে একদিনের আন্তর্জাতিকে অভিষেক
ঘটে তার। নিউজিল্যান্ডের ইনিংসে শেন ওয়ার্নের বলে মার্ক রিচার্ডসনকে
স্ট্যাম্পিং করেন। পরবর্তীতে মার্ক ওয়াহের সাথে ব্যাটিং উদ্বোধনে নামেন ও
৫২ বলে ৩৮ রান তোলেন। এরপর ড্যানিয়েল ভেট্টোরি'র বলে আউট হন।
এরপর একই বছরের ডিসেম্বরে শ্রীলঙ্কার
বিপক্ষে অন্য আরেকটি আন্তর্জাতিকে অংশ নেন। ছয় নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৮
বলে ১৬ রান সংগ্রহ করেন তিনি। উভয়ক্ষেত্রেই তিনি গিলক্রিস্টের পরিবর্তে
অংশ নেন।
অস্ট্রেলিয়ায় ঘরোয়া ক্রিকেটকে বিদায়
জানিয়ে প্রচারমাধ্যমে জড়িয়ে পড়েন, রেডিওতে ক্রীড়া উপস্থাপক ও
টেলিভিশনে ক্রিকেট ধারাভাষ্যকারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন।
২০১২ সালে হংকংয়ে পাড়ি জমান। সেখানে তিনি
কাউলুন দলের পক্ষে খেলোয়াড় ও কোচের দায়িত্বে থাকেন। আর ২০১৬ সালে ৪৪ বছর
১ মাস বয়সে হংকংয়ের হয়ে টি-২০ বিশ্বকাপে খেলতে নেমেছেন।
সতর্কবাণীঃ এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া
নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।
No comments:
Post a Comment