ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা ১০ অলরাউন্ডার : পর্ব-২ !!!!! - SongbadProtidin24Online.com

সর্বশেষ সংবাদ

SongbadProtidin24Online.com

সবার আগে নতুন সংবাদ প্রতিদিন

আপনার প্রতিষ্ঠানের জন্য বিজ্ঞাপন দিন

test banner

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Saturday, April 30, 2016

ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা ১০ অলরাউন্ডার : পর্ব-২ !!!!!


পরিশ্রম, একাগ্রতা আর সাধনার খেলা ক্রিকেট। লম্বা সময় ধরে ক্রিকেটের ক্যারিয়ার চালিয়ে যাবার জন্য চাই অসাধারণ ফিটনেস। আর সেই ফিটনেস ধরে রাখার দৃঢ় মানসিকতা। সাধারণত প্রচণ্ড শারিরীক চাপের কারণে ক্যারিয়ারকে খুব অল্প সময়েই গুটিয়ে ফেলতে বাধ্য হন পেস বোলাররা।

অন্যদিকে ব্যাটসম্যানদের ক্যারিয়ার অপেক্ষাকৃত লম্বা হয়। বিশেষ করে যেকোন একটি ফরম্যাটের খেলা থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিলে তো ক্যারিয়ারের দৈর্ঘ্য বাড়ানোর সম্ভাবনা বেড়ে যায় আরো বহুগুণ।

আর এই দুই শ্রেণির মিশেলে গড়া ‘অলরাউন্ডার’রাই সম্ভবত ক্রিকেটের সবচেয়ে সুন্দর অংশের একটি। বোলিং এবং ব্যাটিং দুই বিভাগেই দক্ষ এই বিশেষ শ্রেণি দলের সাথে মানিয়ে যেতে পারেন খুব সহজেই। যেকোন দলের ব্যাটিং ও বোলিং এর ভারসাম্য আনয়নে অলরাউন্ডারদের ভুমিকা অনন্য।

এক নজরে দেখে নিন দীর্ঘ সময় ধরে ২২ গজে রাজত্ব করা সেরা ১০ অলরাউন্ডারের কথা। তাদের শেষ পাঁচ জনকে নিয়ে আজ প্রকাশিত হল দ্বিতীয় পর্ব।

৬। শন পোলক(দক্ষিণ আফ্রিকা) :
অ্যালান ডোনাল্ডের নতুন বলের সঙ্গী শন পোলক তার দুই দিকেই বল সুইং করানোর অসাধারণ দক্ষতা নিয়ে স্থায়ীভাবে জায়গা করে নিয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলে। শোয়েব আখতার, ব্রেট লিদের মতো গতি না থাকলেও দুর্দান্ত লাইন ও লেন্থ বজায় রেখে ধারাবাহিকভাবে ভালো বল করার সামর্থ্যে তার জুড়ি মেলা ভার। তার ৪২১ টি টেস্ট উইকেট দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সর্বোচ্চ এখনো পর্যন্ত। লোয়ার অর্ডারে ব্যাটিংয়ে নেমে ম্যাচ বের করে আনার সাথে সাথে দ্রুত রান তোলার ক্ষমতা তাকে দিয়েছে অলরাউন্ডারের মর্যাদা। দুটি সেঞ্চুরির পাশাপাশি ৩২ গড়ের টেস্ট ক্যারিয়ার অন্তত সে সাক্ষ্যই দেয়। পিঠের ইনজুরিতে পড়ে মাত্র ৩৪ বয়সে অবসর নিয়ে নিলেও তার আগে শন পোলক পার করেছেন ১৩ বছরের রঙ্গীন আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার।

৭।কপিল দেব (ভারত) :
ভারতীয় ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা ফাস্ট বোলার কপিল দেবের হাত ধরেই এসেছিল ১৯৮৩ এর বিশ্বকাপে ভারতের শিরোপা সাফল্য। ১৩১ টেস্ট ও ২২৫ ওয়ানডে খেলা কপিল দেব যখন রিচার্ড হ্যাডলিকে টপকে টেস্টে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী হন ততোদিনে তার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলার বয়স ১৭ পেরিয়েছে। যা একজন ফাস্ট বোলারের জন্য আশ্চর্যজনকই বটে। খুব কম ম্যাচেই তাকে ইনজুরির জন্য বসে থাকতে দেখা গেছে। তার ব্যাটিং দক্ষতাও ছিল দেখার মতো। কখনো কখনো লোয়ার অর্ডারে নেমে একাই খেলা ঘুরিয়ে দিতে পারতেন কপিল। ১৯৮৩ এর বিশ্বকাপে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৭ রানে ৫ উইকেট পড়ে যাবার পর তার ১৩৮ বলে ১৭৫ রানের ইনিংসটি আধুনিক ক্রিকেটেরই সেরা ইনিংসগুলোর একটি। অবসরে যাবার সময় তার নামের পাশে জ্বলজ্বল করছিল নয়টি আন্তর্জাতিক শতক।

৮। ড্যানিয়েল ভেট্টরি (নিউজিল্যান্ড):
অবসরের পুর্বে গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে কিউই দলে নিয়মিত এই ‘চশমাধারী’ খেলোয়াড় মাত্র ১৮ বছর বয়সে সবচেয়ে কম বয়সী কিউই ক্রিকেটার হিসেবে টেস্টে অভিষিক্ত হন। নির্ভুল লাইন, লেন্থ আর বৈচিত্রে ভরা বোলিংয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ঘায়েল করেছেন ৬৬৭ জন ব্যাটসম্যানকে। টেস্টে ৩০০ উইকেট আর ৩০০০ রান করা দুর্লভ ৮ জন ক্রিকেটারের মধ্যে অন্যতম ভেট্টরি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন একজন কার্যকর মিডল-লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যান হিসেবে। ছয় সেঞ্চুরির সাথে ৩০ গড় নিয়ে টেস্টে তার অর্জন ৪০০০ এরও বেশি রান। ৮ নাম্বারে ব্যাট করে একদিনের ক্রিকেটে তার ৪ টি পঞ্চাশোর্ধ ইনিংসও আছে।

৯। ইয়ান বোথাম (ইংল্যান্ড):
ইংল্যান্ডের সর্বকালের সেরা এই অলরাউন্ডার নিজের মাঠের পারফরম্যান্স আর অসাধারণ ব্যাক্তিত্ব দিয়ে নিজেকে নিয়ে গেছেন ইংল্যান্ডের মহাতারকার আসনে। তার বিখ্যাত আউটসুইঙ্গার কিংবা আগ্রাসী ব্যাটিং যেকোনটি দিয়েই যেকোন মুহুর্তে ম্যাচ বের নিয়ে আসতে পারতেন বোথাম। ১৯৮৬ সালে ডেনিস লিলির ৩৫৫ উইকেটের রেকর্ড ভেঙ্গে তৎকালীন সময়ের সর্বোচ্চ টেস্ট উইকেটধারী হন। ৩৮৩ টেস্ট উইকেটের সাথে ১৪৫ টি ওডিআই উইকেট এবং ১৪ টি টেস্ট সেঞ্চুরির সাথে যথাক্রমে ৫০০০ ও ২০০০ রান তাকে দিয়েছে সর্বকালের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডারের মর্যাদা। পরিসংখ্যানের এর চেয়েও বেশি কার্যকরী ছিল ম্যাচে তার প্রভাব, এটিই ইয়ান বোথামের সাথে অন্য অলরাউন্ডারদের পার্থক্য। শেষ দিকে কিছুটা স্থুলকায় এবং অকার্যকর হয়ে পড়লেও ১৯৯২ বিশ্বকাপ খেলে অবসর নেবার পুর্বে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলেছেন ১৫ বছর।

১০। রিচার্ড হ্যাডলি (নিউজিল্যান্ড):
বর্তমান সময়ে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের যত অর্জন বিশেষ করে টেস্ট ক্রিকেটে তার জন্য কিউইরা চিরকাল ঋনী থাকবে স্যার রিচার্ড হ্যাডলির কাছে। দুর্দান্ত গতি আর বাউন্সারের সাথে আগ্রাসী ব্যাটিং করে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন কিউই ক্রিকেটের অগ্রযাত্রায়। ৩৯ বছর বয়সে অবসরে যাবার পূর্বে দ্রুততম ৪০০ টেস্ট উইকেটের রেকর্ড করেন হ্যাডলি। যেখানে ছিল ৩৬ বার ইনিংসে ৫ উইকেটের পাশাপাশি ৯ বার ম্যাচে দশ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব। ১১৫ টি একদিনের ম্যাচ খেলে তার অর্জন ১৫৮ উইকেট, সাথে ৫ বার ইনিংসে ৫ উইকেট।

সতর্কবাণীঃ এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad

Responsive Ads Here