সুন্দরবন রক্ষায় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি !!!!! - SongbadProtidin24Online.com

সর্বশেষ সংবাদ

SongbadProtidin24Online.com

সবার আগে নতুন সংবাদ প্রতিদিন

আপনার প্রতিষ্ঠানের জন্য বিজ্ঞাপন দিন

test banner

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Saturday, August 20, 2016

সুন্দরবন রক্ষায় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি !!!!!


‘রামপাল চুক্তি ছুড়ে ফেলো, সুন্দরবন রক্ষা করো’—এই স্লোগানকে প্রতিপাদ্য করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বাম ধারার বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মীরা অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছেন। প্রয়োজনে রাজনৈতিক গতিধারা পরিবর্তন করে হলেও রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ বন্ধ করা হবে বলে ওই কর্মসূচি থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

আজ শনিবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে তেল-গ্যাস, খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ অবস্থান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।

অবস্থান কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি কমরেড মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, ‘এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে সুন্দরবন ধ্বংস হয়ে যাবে। তথ্য-প্রমাণ দিয়ে তা প্রমাণ করা হয়েছে। আমাদের এই সংগ্রাম বিদ্যুৎ উৎপাদন, বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের বিরুদ্ধে নয়; এই সংগ্রাম সুন্দরবন রক্ষার জন্য।’

মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম আরও বলেন, ‘আমার বিদ্যুৎকেন্দ্র ও সুন্দরবন দুটোই চাই। তাই রাজনীতির পরিবর্তন করে হলেও রামপাল প্রকল্প বন্ধ করা হবে।’ এ জন্য বিদ্যুৎ সমস্যার টেকসই সমাধানে জাতীয় কমিটির দেওয়া সাত দফা বাস্তবায়নের দাবি জানান তিনি।

বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক কমরেড খালেকুজ্জামান বলেন, দেশি-বিদেশি লুটেরাদের স্বার্থকে রক্ষার জন্য এ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এতে নানা উন্নয়নের চিত্র দেখানো হচ্ছে। ভাড়া করা বিশেষজ্ঞরা শোনাচ্ছেন, সুন্দরবন ধ্বংস হবে না।

সরকারের উদ্দেশে খালেকুজ্জামান বলেন, ‘যখন বুড়িগঙ্গার দুর্গন্ধ দূর করতে পারেন না, খালে পড়ে গেলে শিশু উদ্ধার করতে পারেন না, হাতিরঝিলে নাকে রুমাল চেপে যেতে হয়, তখন রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের পর সুন্দরবন রক্ষা হবে, তা আমরা মানি না।’

কলাম লেখক সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে ১ হাজার ৬০০ মানুষও এ প্রকল্প চায় না। এটা জাতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। প্রকল্পের যাঁরা জড়িত, তাঁদের নাম ১০ থেকে ১৫ বছর পরে মানবতাবিরোধী অপরাধীদের সঙ্গে উচ্চারিত হবে।

বক্তব্য শেষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বাঁ পাশে একটি মুক্ত ক্যানভাসের উদ্বোধন করা হয়। এখানে বিভিন্নজন মন্তব্য করতে পারবেন।
অবস্থান কর্মসূচিতে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পাটি, গণসংহতি আন্দোলন, গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা, সুজন, নাগরিক ঐক্যসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মীরা অবস্থান করছেন।

সতর্কবাণীঃ এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad

Responsive Ads Here