বিধিবহির্ভূতভাবে সিলেকশন গ্রেড প্রদান করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় এবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বদরুজ্জামান গ্রেফতার হয়েছেন। সোমবার (১৩ মার্চ) ভোরে ঢাকার মিরপুর এলাকার বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এনিয়ে ওই মামলায় চারজন গ্রেফতার হলেও তিনজন জামিনে রয়েছেন।
দুদকের সহকারী পরিচালক মো. ফজলুল বারী জানান, সোমবার ভোরে দুদকের উপ-পরিচালক মোরশেদ আলমের নেতৃত্বে মিরপুরে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
দুদকের গাজীপুর জেলায় কর্মরত আইনজীবী মো. এনামুল হক বলেন, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি মিরপুর এলাকা থেকে একই মামলার এজহারভুক্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর তাওহীদ জামান শিপু, অর্থ ও হিসাব বিভাগের সহকারী পরিচালক (বেতন ও কল্যাণ) শেখ মোহাম্মদ মোফাজ্জল হোসাইন ও সহকারী রেজিস্ট্রার সিদ্দিকুর রহমান গ্রেফতার হন। পরে তারা আদালতের মাধ্যমে অন্তবর্তীকালীন জামিনে রয়েছেন।
জনৈক ব্যক্তির দায়ের করা ওই দুর্নীতি মামলায় সোমবার ভোরে রাজধানীর মিরপুর এলাকা থেকে দুদক জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করেন। এ মামলায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক কাজী শহীদুল্লাহসহ মোট ১৩ জনকে আসামি করা হয়েছিল।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, সরকারের নিষেধাজ্ঞার পরও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘গণনিয়োগ’ পাওয়া ১৬৯ জন কর্মচারীকে অবৈধভাবে সিলেকশন গ্রেড দিয়ে আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে সরকারের এক কোটি ৪ লাখ ৬৩ হাজার ৩৯৪ টাকা আত্মসাত করেছেন।
এছাড়াও তাদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক মো. হাফিজুর রহমান ও সহকারী কলেজ পরিদর্শক এমএইচ এম এ শাহজাহান বাদী হয়ে আরও তিনটি দুর্নীতির মামলা করেন। মামলাগুলো তদন্ত করছে দুদক।
সতর্কবাণীঃ এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।
No comments:
Post a Comment