মায়ানমারের যৌথবাহিনী ও বৌদ্ধ সন্ত্রাসীদের নির্মম নির্যাতনের হাত থেকে প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে আসা এবং বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণকারী অসহায় মজলুম রোহিঙ্গা মুসলমানদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেছে ইসলামী ঐক্যজোট।
কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এসব ত্রাণ বিতরণ করেন ইসলামী ঐক্যজোটের ভাইস চেয়ারম্যান আল্লামা ইসহাক নূর ও মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ।
শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) সারাদিন বান্দরবন নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত ও কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের সীমান্তবর্তী এলাকায় অবস্থানরত মজলুম ও অসহায় রোহিঙ্গাদের মাঝে শুকনা খাবার, ঔষধ সামগ্রী, ঘর তৈরির সরাঞ্জাম ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সহ নগদ টাকা বিতরণ করেন।
মুফতি ফয়জুল্লাহ বলেন, রোহিঙ্গাদের সমস্যা ও দুর্দশা নিয়ে যাই বলি না কেন, তাদের প্রকৃত দুঃখের কথা মুখের ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন। কত অসহায়ভাবে দিনাতিপাত করছে তারা, তা সেখানে তাদের অবস্থা দেখে কিছুটা অনুধাবন করা সম্ভব হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আমরা অত্যন্ত ভারাক্রান্ত, লজ্জিত ও ব্যথিত। আমরা এখনো আমাদের নির্যাতিত মা বোনদের রক্ষায় কার্যকর কোন ভূমিকা রাখতে পারিনি। জাতিসংঘ গঠিত হয়েছে মানুষের নিরাপত্তা বিধানের জন্য। মানবজাতির স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য। আজ জাতিসংঘের চোখ বন্ধ কেন? কেন আজ তাদের এরকম নীরবতা? বিশ্বমানবতা আজ কোথায়?
তিনি বলেন, এদেশের ওলামায়ে কেরাম ও তাওহীদি জনতা এরকম নৃশংসতা ও হত্যাকাণ্ড বন্ধ এবং রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর নাগরিকত্ব ফিরিয়ে আনতে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত আছে। তাই সরকারকে বলবো, রোহিঙ্গা মুসলমানদের এমন জুলুম ও অসহায়ত্ব বাংলাদেশ সরকার নীরবে দেখে থাকতে পারে না। মনে রাখতে হবে আমরাও তো একদিন শরণার্থী হয়ে ভারতের আশপাশের রাজ্যে এবং পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছিলাম।
তিনি নির্যাতিত অসহায় রোহিঙ্গাদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ ও আশ্রয় দিয়ে সাহায্য সহযোগিতা করতে দেশের সামর্থ্যবান মানুষের প্রতি উদাত্ত আহবান জানান।
সতর্কবাণীঃ এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।
No comments:
Post a Comment