দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়ার ৫ বছরের জেল - SongbadProtidin24Online.com

সর্বশেষ সংবাদ

SongbadProtidin24Online.com

সবার আগে নতুন সংবাদ প্রতিদিন

আপনার প্রতিষ্ঠানের জন্য বিজ্ঞাপন দিন

test banner

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Thursday, February 8, 2018

দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়ার ৫ বছরের জেল

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া তারেক রহমানসহ অন্য পাঁচ আসামির প্রত্যেককে ১০ বছর করে কারাদণ্ড ও দুই কোটি টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে পুরান ঢাকার বকশীবাজারে আলিয়া মাদ্রাসার মাঠে স্থাপিত ঢাকার পাঁচ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. আখতারুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।
এ সময় এজলাসে মামলার আসামি খালেদা জিয়া, সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
মামলার অপর তিন আসামি খালেদা জিয়ার বড় ছেলে ও বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী পলাতক রয়েছেন।
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রীদের মধ্যে খালেদা জিয়াই প্রথম দুর্নীতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে দণ্ডিত হলেন। মামলার ১০ বছর পর এ রায় এলো।
২০০৮ সালের ৩ জুলাই দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকের তৎকালীন উপসহকারী পরিচালক হারুন অর রশীদ ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে রাজধানীর রমনা থানায় মামলাটি করেন।
এতে খালেদা জিয়া, তারেক রহমান, মমিনুর রহমান, কাজী সালিমুল হক কামাল, শরফুদ্দিন আহমেদ, সাঈদ আহমেদ ও গিয়াস উদ্দিনকে আসামি করা হয়। তদন্তে সাঈদ আহমেদ ও গিয়াস উদ্দিনের সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় চার্জশিট থেকে তাদের নাম বাদ দেয়া হয়। তদন্তে নতুন করে আসামি হিসেবে যুক্ত হন ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ১৯৯১-১৯৯৬ সময়কালে প্রধানমন্ত্রী থাকাবস্থায় খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রীর এতিম তহবিল নামে সোনালী ব্যাংক রমনা শাখায় একটি হিসাব খোলেন। একটি বিদেশি সংস্থা ১৯৯১ সালের ৯ জুন ওই হিসাবে ইউনাইটেড সৌদি কমার্শিয়াল ব্যাংকের মাধ্যমে অনুদান হিসেবে ৪ কোটি ৪৪ লাখ ৮১ হাজার ২১৬ টাকা দেয়।
কিন্তু তহবিলের ওই টাকা দীর্ঘ দুই বছর কোনো এতিমখানায় না দিয়ে জমা রাখা হয়। এর পর জিয়া পরিবারের তিন সদস্যকে (তারেক, আরাফাত ও মমিনুর) দিয়ে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট গঠন করে এর নামে বরাদ্দ দেয়া হয়। এতে ঠিকানা হিসেবে খালেদা জিয়ার সেনানিবাসের ৬ নম্বর মইনুল রোডের বাড়ির ঠিকানা ব্যবহার করা হয়। ট্রাস্ট গঠনের ক্ষেত্রে সরকারি নীতিমালা মানা হয়নি বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।
মামলায় বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীর এতিম তহবিলের টাকা ১৯৯৩ সালে দুভাগে ভাগ করে ট্রাস্টের বগুড়া ও বাগেরহাট শাখার জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়। এর মধ্যে বগুড়া জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের নামে ২ কোটি ৩৩ লাখ ৩৩ হাজার ৫০০ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়, যা থেকে ২ লাখ ৭৭ হাজার টাকা দিয়ে ট্রাস্টের নামে বগুড়ায় প্রায় তিন একর জমি কেনা হয়। কিন্তু অবশিষ্ট টাকা এতিমখানায় ব্যয় না করে দীর্ঘ ১৩ বছর ব্যাংকে জমা রাখা হয়। পরে তা সুদাসলে বেড়ে দাঁড়ায় ৩ কোটি ৩৭ লাখ ৯ হাজার ৭৫৭ টাকায়।
দুদকের অভিযোগ, ২০০৬ সালে খালেদা জিয়া তার বড় ছেলে তারেক রহমান ও স্বজন মমিনুর রহমানকে দিয়ে তিন কিস্তিতে ৬টি চেকের মাধ্যমে ৩ কোটি ৩০ লাখ টাকা তুলে প্রাইম ব্যাংকের গুলশান শাখায় স্থায়ী আমানত (এফডিআর) করেন। এর পর বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক, সৈয়দ আহমেদ, গিয়াস উদ্দিন আহমেদ ও শরফুদ্দিন আহমেদের প্রাইম ব্যাংকের নিউ ইস্কাটন শাখার ব্যক্তিগত হিসাবের মাধ্যমে ওই টাকা অন্য খাতে ব্যবহার করা হয়েছে।
২০০৯ সালের ৫ আগস্ট তদন্ত শেষে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা খালেদা জিয়াসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে এ মামলার চার্জশিট (অভিযোগপত্র) আদালতে দাখিল করেন।
এর প্রায় ৫ বছর পর ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ এ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ চার্জ (অভিযোগ) গঠন করে বিচার শুরু করেন।
এ মামলায় ২৩৬ কার্যদিবসে ৩২ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। ২৮ কার্যদিবস ধরে আত্মপক্ষ সমর্থনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এর পর ১৬ কার্যদিবস উভয়পক্ষের (দুদক ও আসামিপক্ষ) যুক্তিতর্ক শুনানি হয়।
পরে গত ২৫ জানুয়ারি বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. আখতারুজ্জামান আজ ৮ ফেব্রুয়ারি এ মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন।
এ মামলায় খালেদা জিয়া অস্থায়ী জামিনে ও অপর দুই আসামি কারাগারে রয়েছেন। এ ছাড়া খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমানসহ তিন আসামি পলাতক রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে।
সতর্কবাণীঃ এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad

Responsive Ads Here