হজ ইসলামের পঞ্চ স্তম্ভের একটি। এটি মুসলিম উম্মাহর অন্যতম ইবাদতও বটে। তবে এ ইবাদতের জন্য রয়েছে বিশেষ দু’টি শর্ত। একটি হলো সম্পদশালী হওয়া আর অন্যটি হলো শারীরিকভাবে সক্ষম হওয়া। কিন্তু বদলি হজের কারণ কি? এ হজ আদায় করবে করা? এ সব প্রশ্নের রয়েছে সুস্পষ্ট সমাধান-
বদলি হজ
কোনো ব্যক্তির হজ ফরজ হওয়ার পর তা আদায় করার আগেই মারা যায় কিংবা স্বাস্থ্যগত কারণে হজ সম্পাদনে অক্ষম হন তবে উভয় অবস্থায় অন্যের দ্বারা হজ করানো যায়। আর অন্যের দ্বারা হজ করানোকেই বদলি হজ বলে।
কোনো ব্যক্তির হজ ফরজ হওয়ার পর তা আদায় করার আগেই মারা যায় কিংবা স্বাস্থ্যগত কারণে হজ সম্পাদনে অক্ষম হন তবে উভয় অবস্থায় অন্যের দ্বারা হজ করানো যায়। আর অন্যের দ্বারা হজ করানোকেই বদলি হজ বলে।
হজরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত জুহায়না গোত্রের এক নারী প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর কাছে এসে বলল, আমার মা হজের মানত করেছিলেন, কিন্তু তা আদায় করার আগেই তিনি মারা গেছেন। আমি কি তার পক্ষ থেকে হজ করবো?
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘হ্যাঁ’, তার পক্ষ থেকে তুমি হজ করবে। যদি তার কোনো ঋণ থাকে তবে কি তুমি তার ঋণ পরিশোধ করতে না? সুতরাং আল্লাহর ঋণ পরিশোধ কর। কেননা আল্লাহ তাআলাই পাওনা পাওয়ার সর্বাধিক হকদার।’ (বুখারি)
প্রিয়নবি যেখানে মান্নতের হজ আদায়ের ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেছেন সেখানে ফরজ হজের ব্যাপারটিতো আরো গুরুত্বপূর্ণ।
বদলি হজের কারণ
- হজ ফরজ হওয়ার পর মৃত্যু;
- বন্দীত্ব;
- জীবনে আরোগ্য হওয়ার আশা নেই এমন অসুস্থ ব্যক্তি;
- খোঁড়া হয়ে যাওয়া;
- অন্ধত্ব;
- এত বৃদ্ধ হওয়া যে, বহনে বসারও ক্ষমতা নেই;
- যে সব নারীদের মাহরাম নেই;
- কোনো কারণে নিরাপত্তাহীনতা।
- হজ ফরজ হওয়ার পর মৃত্যু;
- বন্দীত্ব;
- জীবনে আরোগ্য হওয়ার আশা নেই এমন অসুস্থ ব্যক্তি;
- খোঁড়া হয়ে যাওয়া;
- অন্ধত্ব;
- এত বৃদ্ধ হওয়া যে, বহনে বসারও ক্ষমতা নেই;
- যে সব নারীদের মাহরাম নেই;
- কোনো কারণে নিরাপত্তাহীনতা।
বদলি হজ আদায করবে যারা
যে ব্যক্তি নিজে হজ করেনি, তার দ্বারা বদলি হজ করনোকে মাকরূহ তানজিহি বলা হয়েছে। আর যদি বদলি হজকারীর হজের সামর্থ থাকা সত্ত্বেও নিজের হজ আদায় না করে অন্যের হজ আদায় করে তবে তার জন্য বদলি হজ মাকরূহে তাহরিমি অর্থাৎ তা নিষিদ্ধের কাছাকাছি।’
তাই মুসলিম বিবেকবান ও হজের বিধি-বিধান সম্পর্কে জানা ব্যক্তির মাধ্যমে হজ সম্পাদন করানো। আর বদলি হজের ক্ষেত্রে সর্বোত্তম হচ্ছে-
- যে ব্যক্তি নিজে হজ করেছে এমন ব্যক্তির দ্বারা বদলি হজ করানো।
- একজন মুত্তাকি আলেম দিয়ে বদলি হজ করানো।
যে ব্যক্তি নিজে হজ করেনি, তার দ্বারা বদলি হজ করনোকে মাকরূহ তানজিহি বলা হয়েছে। আর যদি বদলি হজকারীর হজের সামর্থ থাকা সত্ত্বেও নিজের হজ আদায় না করে অন্যের হজ আদায় করে তবে তার জন্য বদলি হজ মাকরূহে তাহরিমি অর্থাৎ তা নিষিদ্ধের কাছাকাছি।’
তাই মুসলিম বিবেকবান ও হজের বিধি-বিধান সম্পর্কে জানা ব্যক্তির মাধ্যমে হজ সম্পাদন করানো। আর বদলি হজের ক্ষেত্রে সর্বোত্তম হচ্ছে-
- যে ব্যক্তি নিজে হজ করেছে এমন ব্যক্তির দ্বারা বদলি হজ করানো।
- একজন মুত্তাকি আলেম দিয়ে বদলি হজ করানো।
মনে রাখতে হবে
যে ব্যক্তি বদলি হজ আদায় করবেন, তিনি ইহরামের সময় অবশ্যই যার বদলি হজ আদায় করছেন তার নামেই নিয়ত করতে হবে।
যে ব্যক্তি বদলি হজ আদায় করবেন, তিনি ইহরামের সময় অবশ্যই যার বদলি হজ আদায় করছেন তার নামেই নিয়ত করতে হবে।
সুতরাং যার ওপর হজ ফরজ হয়েছে, কিন্তু হজ সম্পাদনের আগে মারা গেছে কিংবা শারীরিক সক্ষমতা নেই, দায়িত্বশীলদের উচিত যথাযথ যোগ্য লোকদের মাধ্যমে বদলি হজ আদায় করা।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে বদলি হজে করণীয় বিষয়গুলো যথাযথভাবে পালন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
সতর্কবাণীঃ এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।
No comments:
Post a Comment