প্রতিমন্ত্রী হিসেবে পাওয়া সরকারি গাড়ি ছেড়ে ছয় নম্বর রুটের লোকাল বাসে করে করে গুলশান-১ এর বাসায় ফিরলেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
এই যাত্রা কেবল এক দিনের হবে না, সেই ঘোষণাও দিয়ে রেখেছেন তিনি। জানিয়েছেন, গুরুত্বপূর্ণ কাজ ছাড়া বাকি সময় সরকারি গাড়ি বাদ দিয়ে এভাবে লোকাল বাসে করেই যাতায়াত করবেন।
বুধবার দুপুরে গুলিস্তান থেকে বাসে করে গুলশান নেমে সাংবাদিকদেরকে এমন কথাই বলেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী।
সচিবালয়ে নিজ দপ্তরের কাজ শেষে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে গুলিস্তান যান তারানা হালিম। পরে জিপিওর সামনে থেকে ৬ নম্বর বাসে চড়েন তিনি। বেলা আড়াইটার দিকে গুলশান পৌঁছান তথ্য প্রতিমন্ত্রী।
প্রটোকল ছাড়া প্রতিমন্ত্রীকে বাসের পেয়ে অবাক হন সহযাত্রীরা। কেবল প্রতিমন্ত্রী নয়, তারানার পরিচিতি বহু আগে থেকেই। ৯০ দশকে পর্দা মাতানো মিষ্টি হাসির মেয়েটিকে বাসে পেয়ে সেলফি তুলতেও ভুলেননি যাত্রীরা। সাধারণ যাত্রী হয়ে বাসে করে যাওয়ায় সাধুবাদও জানান তারা।
গুলিস্তান থেকে প্রতিমন্ত্রী যখন বাসে ওঠেন তখন বাসটিতে আগে থেকেই বসা একজন শিক্ষার্থী জানলার পাশের আসন ছেড়ে দেন তারানাকে। পরে পাশে বসা যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
যাত্রীদের পাশাপাশি এ সময় চমকে উঠেন বাসের চালক। তিনি প্রতিমন্ত্রীকে চিনতে পেরে চালক বলেন, ‘আপা, পুলিশ ছাড়াই উঠবেন ‘
তারানা জবাব দেন, ‘হ্যাঁ।’
এরপর চালক উচ্ছ্বসিত কণ্ঠে বলেন, ‘আপা আমরাই আপনার প্রটেকশন, ওঠেন।’
যাত্রাপথে বাসের আসনের অপরিস্কার দেখে এ নিয়ে ব্যবস্থা নিতেও পরিবহন শ্রমিকদের নির্দেশ দেন প্রতিমন্ত্রী।
আসন তেল চিটচিটে দেখে তারানা বলেন, ‘এগুলো হাতে এবং নখে থাকলে কোনো খাবার খেলে তো অসুস্থ হয়ে যাবে মানুষ। কাভারগুলো পরিষ্কার বা পরিবর্তন করে দিতে হবে।’
আবার ছাদ কেটে বাতাস যাতায়াতের ব্যবস্থা করায় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে-এই বিষয়েও দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।
বাসে করে যাতায়াতের বিষয়ে জানতে চাইলে তারানা হালিম গণমাধ্যমকে বলেন, সাধারণ মানুষের প্রতিক্রিয়া থেকে তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
‘প্রতিদিনই সাধারণ মানুষের একটা অভিযোগ থাকে, এমপি-মন্ত্রীরা সড়ক পথের যানজট দেখেন না। তারা আশা করে এমপি-মন্ত্রীরা একবার হলেও তাদের সঙ্গে সাধারণ যাত্রীর মতো গণপরিবহনে চলাচল করবেন। সেখান থেকেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
তারানা বলেন, ‘এখন থেকে প্রতিদিনই আমি সাধারণ যাত্রীদের সঙ্গে গণপরিবহনে চলাচল করব। তবে সরকারি গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোর সময় আমাকে সরকারি যানবাহন ব্যবহার করতেই হবে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সাধারণ জনগণ যদি প্রতিদিন কষ্ট করে তাদের কর্মক্ষেত্রে পৌঁছাতে পারে, তবে আমরা কেন পারব না? আমরা সবাই-ই মানুষ। আমাদের সকলের আনন্দ আছে, কষ্ট আছে। মানুষের কষ্টগুলো কাছ থেকে দেখতেই আমার এমন সিদ্ধান্ত।’
সতর্কবাণীঃ এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।
এই যাত্রা কেবল এক দিনের হবে না, সেই ঘোষণাও দিয়ে রেখেছেন তিনি। জানিয়েছেন, গুরুত্বপূর্ণ কাজ ছাড়া বাকি সময় সরকারি গাড়ি বাদ দিয়ে এভাবে লোকাল বাসে করেই যাতায়াত করবেন।
বুধবার দুপুরে গুলিস্তান থেকে বাসে করে গুলশান নেমে সাংবাদিকদেরকে এমন কথাই বলেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী।
সচিবালয়ে নিজ দপ্তরের কাজ শেষে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে গুলিস্তান যান তারানা হালিম। পরে জিপিওর সামনে থেকে ৬ নম্বর বাসে চড়েন তিনি। বেলা আড়াইটার দিকে গুলশান পৌঁছান তথ্য প্রতিমন্ত্রী।
প্রটোকল ছাড়া প্রতিমন্ত্রীকে বাসের পেয়ে অবাক হন সহযাত্রীরা। কেবল প্রতিমন্ত্রী নয়, তারানার পরিচিতি বহু আগে থেকেই। ৯০ দশকে পর্দা মাতানো মিষ্টি হাসির মেয়েটিকে বাসে পেয়ে সেলফি তুলতেও ভুলেননি যাত্রীরা। সাধারণ যাত্রী হয়ে বাসে করে যাওয়ায় সাধুবাদও জানান তারা।
গুলিস্তান থেকে প্রতিমন্ত্রী যখন বাসে ওঠেন তখন বাসটিতে আগে থেকেই বসা একজন শিক্ষার্থী জানলার পাশের আসন ছেড়ে দেন তারানাকে। পরে পাশে বসা যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
যাত্রীদের পাশাপাশি এ সময় চমকে উঠেন বাসের চালক। তিনি প্রতিমন্ত্রীকে চিনতে পেরে চালক বলেন, ‘আপা, পুলিশ ছাড়াই উঠবেন ‘
তারানা জবাব দেন, ‘হ্যাঁ।’
এরপর চালক উচ্ছ্বসিত কণ্ঠে বলেন, ‘আপা আমরাই আপনার প্রটেকশন, ওঠেন।’
যাত্রাপথে বাসের আসনের অপরিস্কার দেখে এ নিয়ে ব্যবস্থা নিতেও পরিবহন শ্রমিকদের নির্দেশ দেন প্রতিমন্ত্রী।
আসন তেল চিটচিটে দেখে তারানা বলেন, ‘এগুলো হাতে এবং নখে থাকলে কোনো খাবার খেলে তো অসুস্থ হয়ে যাবে মানুষ। কাভারগুলো পরিষ্কার বা পরিবর্তন করে দিতে হবে।’
আবার ছাদ কেটে বাতাস যাতায়াতের ব্যবস্থা করায় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে-এই বিষয়েও দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।
বাসে করে যাতায়াতের বিষয়ে জানতে চাইলে তারানা হালিম গণমাধ্যমকে বলেন, সাধারণ মানুষের প্রতিক্রিয়া থেকে তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
‘প্রতিদিনই সাধারণ মানুষের একটা অভিযোগ থাকে, এমপি-মন্ত্রীরা সড়ক পথের যানজট দেখেন না। তারা আশা করে এমপি-মন্ত্রীরা একবার হলেও তাদের সঙ্গে সাধারণ যাত্রীর মতো গণপরিবহনে চলাচল করবেন। সেখান থেকেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
তারানা বলেন, ‘এখন থেকে প্রতিদিনই আমি সাধারণ যাত্রীদের সঙ্গে গণপরিবহনে চলাচল করব। তবে সরকারি গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোর সময় আমাকে সরকারি যানবাহন ব্যবহার করতেই হবে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সাধারণ জনগণ যদি প্রতিদিন কষ্ট করে তাদের কর্মক্ষেত্রে পৌঁছাতে পারে, তবে আমরা কেন পারব না? আমরা সবাই-ই মানুষ। আমাদের সকলের আনন্দ আছে, কষ্ট আছে। মানুষের কষ্টগুলো কাছ থেকে দেখতেই আমার এমন সিদ্ধান্ত।’
সতর্কবাণীঃ এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।
No comments:
Post a Comment