শরীয়তপুর-৩ (ভেদরগঞ্জ-ডামুড্যা-গোসাইরহাট) আসনের বিএনপি প্রার্থী মিয়া নুরদ্দিন আহমেদ অপুর মিছিলে সশস্ত্র হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। হামলায় প্রার্থী অপুসহ অন্তত ২৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
সোমবার দুপুরে গোসাইরহাট পৌরসভার হেলিপ্যাড মাঠে এ হামলা চালানো হয়।
হামলায় আহত গোসাইরহাট ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খলিল ভূঁইয়া (৪৫), আলালপুর ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি বাবু ঢালী (৩৫), আহ্বায়ক মো. রিপন (৩৪), সদস্য মঞ্জুর হাওলাদার (৩৫), কুচাইপইট্টি ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ইমামুল গাজি (২০), গোসাইরহাট উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য ও আলালপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সিনিয়র সহসভাপতি শফিকুল ইসলাম (২৬), ছত্রনেতা রাশেদ (২১), নিরবের (২২) নাম পাওয়া গেছে।
গোসাইরহাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা বলেন, বিএনপির একটি মিছিল গোসাইরহাট হেলিপ্যাড পৌঁছলে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। তখন বিএনপরি প্রার্থী আহত হন। তাকে কোদালপুর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
তিনি দাবি করেন, ঘটনার সময় সেখানে পুলিশ ছিল না। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল তদন্ত করেছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে।
এদিকে বিএনপির পক্ষ থেকে এ হামলার জন্য আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগকে দায়ী করা হয়েছে।
শরীয়তপুর জেলা মহিলা দলের আহ্বায়ক আল আসমাউল হুসনা বলেন, দুপুর ১২টার দিকে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীর মিছিল চলাকালে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মিছিলে হামলা চালায়। হামলায় আমাদের প্রার্থী মিয়া নুরদ্দিন আহমেদ অপুর মাথা ফেটে যায়। অন্যান্যদেরও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করেছে।
আহত মিয়া নুরদ্দিন আহমেদ অপু বলেন, ১০ হাজার লোক নিয়ে কোদালপুর ইউনিয়ন থেকে একটি মিছিল নিয়ে গোসাইরহাট পৌরসভার হেলিপ্যাড মাঠে পৌঁছা মাত্র সন্ত্রাসীরা লাঠি, চাইনিজ কুড়াল নিয়ে তেড়ে এলে আমাদের নেতাকর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। গালিগালাজ করতে করতে তারা আমাদের ওপর হামলা চালায়।
এদিকে গোসাইরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নাসির উদ্দিন বলেন, গোসাইরহাটে বিএনপির দুটি দল। তারা একপক্ষ মিছিল করতে থাকলে, আরেক পক্ষ মিছিলে হামলা চালায়। আওয়ামী লীগ বা ছাত্রলীগ তাদের উপর হামলা করেনি।
সতর্কবাণীঃ এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।
No comments:
Post a Comment