শরীয়তপুর প্রতিনিধিঃ শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় প্রেমিকার বাড়িতে গিয়ে ধরা পড়েছেন প্রেমিক। শনিবার রাত ১২টার দিকে এলাকাবাসী তাদের আপত্তিকর অবস্থায় হাতেনাতে আটক করে। উপজেলার ভূমখাড়া ইউনিয়নের উত্তর ভূমখাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। রোববার ওই প্রেমিক যুগলের বিয়ে দেয়া হবে বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
এলাকাবাসী জানায়, গত এক বছর যাবত ভূমখাড়া ইউনিয়নের উত্তর ভূমখাড়া গ্রামের মৃত মোবারক ছৈয়ালের মেয়ে কেয়া মনি (১৯) এবং নড়িয়া পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের মধ্য লোনসিং গ্রামের দেলোয়ার আকনের ছেলে রাব্বি আকনের (২৪) মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছে। শনিবার কেয়ার মা হালিমা বেগম তার বাবার বেড়াতে যান। এ সুযোগে রাতে কেয়াদের বাড়িতে ঢুকে রাব্বি। রাত ১২টার দিকে রাব্বি কেয়ার ঘরে প্রবেশ করে অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত হলে বিষয়টি এলাকাবাসী টের পেয়ে তাদের হাতেনাতে ধরে ফেলে। পরে গ্রাম্য মাতব্বর ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধির উপস্থিতিতে তাদের বিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। রোববার দুপুর ১২টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত প্রেমিকা কেয়ার বাড়িতে বন্দি অবস্থায় আছেন প্রেমিক রাব্বি। আজকেই তাদের বিয়ে দেয়া হবে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে।
কেয়া নড়িয়া সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ও রাব্বি একই কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।
ঘটনার কথা স্বীকার করে রাব্বি আকন বলেন, এক বছর ধরে কেয়ার সঙ্গে আমার প্রেমের সম্পর্ক। শনিবার রাতে কেয়ার সঙ্গে দেখা করতে তাদের বাড়িতে আসি। আমি কেয়াকে বিয়ে করবো।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আবুল বাশার বলেন, অবৈধ কাজে লিপ্ত থাকার সময় রাব্বি ও কেয়াকে এলাকাবাসী হাতেনাতে আটক করেছে। দুজনেরই বিয়ের বয়স হয়েছে। বিয়েতে তাদের সম্মতিও আছে।
এ ব্যাপারে নড়িয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মঞ্জুরুল হক আকন্দ বলেন, ঘটনাটি জানার পর সরোয়ার নামে এক এসআইকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছিল। ওই প্রেমিক যুগলের প্রাপ্ত বয়স হয়েছে। গ্রামবাসী ও দুই পরিবারের সিদ্ধান্তে তাদের বিয়ে হবে বলে তারা জানিয়েছে।
সতর্কবাণীঃ এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।
No comments:
Post a Comment