কাঁঠালবাড়ী লঞ্চ টার্মিনালে ভোগান্তির অপর নাম অবৈধ দোকান - SongbadProtidin24Online.com

songbad+cover

সবার আগে নতুন সংবাদ প্রতিদিন

আপনার প্রতিষ্ঠানের জন্য বিজ্ঞাপন দিন

demo-image

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Post Top Ad

Saturday, May 25, 2019

কাঁঠালবাড়ী লঞ্চ টার্মিনালে ভোগান্তির অপর নাম অবৈধ দোকান

Responsive Ads Here
madaripur.4
মাদারীপুর প্রতিনিধিঃ রাজধানীর সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের যোগাযোগের অন্যতম নৌরুট কাঁঠালবাড়ী-শিমুলিয়া। এই নৌরুট দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে। ফলে সারাদিনই যাত্রীদের পদভারে ব্যস্ত থাকে ঘাটের লঞ্চ টার্মিনাল। কাঁঠালবাড়ী ঘাটে নেমে টার্মিনালের ছাউনির ভেতর দিয়ে গিয়ে লঞ্চ ও স্পিডবোটে উঠতে হয় যাত্রীদের। আর এ কারণেই পুরো টার্মিনাল জুড়ে ভিড় লেগে থাকে যাত্রীদের। আর ঈদ মৌসুমে তিল ধারণের জায়গা থাকে না এ টার্মিনালের ছাউনির ভেতর।
কিন্তু ব্যস্ততম এ নৌরুটের টার্মিনালের ছাউনির ভেতরটা দখল হয়ে আছে নানা শ্রেণির হকারদের মৌসুমি দোকানে। টার্মিনালের ভেতর যত্রতত্রভাবে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা এসব দোকানের কারণে যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দে চলাচলে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। ঈদ মৌসুমে যাত্রীদের প্রচণ্ড ভিড়ের মাঝে যেখানে টার্মিনালে দাঁড়িয়ে থাকার জায়গা থাকে না, সেখানে যত্রতত্রভাবে থাকা ভাসমান দোকানগুলো ভোগান্তি বাড়াচ্ছে যাত্রীদের।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, কাঁঠালবাড়ী ঘাটের লঞ্চ ও স্পিডবোট ঘাটে পৌঁছাতে বিশাল পরিসরে তৈরি করা হয়েছে টার্মিনাল ছাউনি। ঝড়-বৃষ্টির সময় যাত্রীরা টার্মিনালে আশ্রয় নিতে পারছে। গাড়ি থেকে নেমে টার্মিনালের ছাউনির ভেতর দিয়ে যাত্রীদের পৌঁছাতে হয় লঞ্চ বা স্পিডবোট ঘাটে। আর স্বাভাবিকভাবেই যাত্রীদের ভীড় লেগে থাকে পুরো টার্মিনাল জুড়ে। এরই মধ্যে টার্মিনালের ভেতরে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে অসংখ্য ভাসমান দোকান।
এছাড়াও স্থায়ী দোকানের দোকানিরা দোকানের সামনে টার্মিনালের জায়গা দখল করে তাদের পণ্য সাজিয়ে বসেছেন। এর ফলে যাতায়াতকারী যাত্রীদের ভোগান্তি সৃষ্টি হচ্ছে বলে যাত্রীরা জানিয়েছেন।
যাত্রীদের ভিড় বাড়লেই ছাউনির ভেতর যাত্রীদের জটলা তৈরি হচ্ছে। এতে করে নৌযান থেকে নেমে গন্তব্যের গাড়িতে উঠতে যেমন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তেমনি গাড়ি থেকে নেমে ঘাটে পৌঁছাতেও বেগ পেতে হচ্ছে যাত্রীদের।
গোপালগঞ্জগামী যাত্রী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘লঞ্চ থেকে নেমে টার্মিনালের এ ছাউনির ভেতর দিয়ে গিয়ে গাড়িতে উঠতে হয়। লঞ্চ থেকে নামার পর দেখা যাচ্ছে পুরো ছাউনিজুড়েই নানা ধরনের দোকান নিয়ে বসে গেছে হকাররা। তাদের আর যাত্রীদের ভিড় মিলে বেশ বিরক্তকর হয়ে উঠেছে।
এ বিষয়ে ভাসমান দোকানিদের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, টার্মিনালের ভেতর বিক্রি বেশি হয় তাদের। মাঝে মাঝে বিআইডব্লিউটিসির লোকজন বাধা দিলেও তা সাময়িক। কিছুক্ষণের জন্য সরে গিয়ে আবার দোকান সাজিয়ে বসেন তারা।
বিআইডব্লিউটিসির কাঁঠালবাড়ী লঞ্চ ঘাটের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আক্তার হোসেন বলেন, লঞ্চ ঘাটের টার্মিনালের ছাউনির ভেতরে পথের ওপর দোকান করা অবৈধ। আমরা প্রায়ই এ বিষয়ে দোকান মালিকদের বলি, তারা যেন পথের উপর না বসে। অথচ তারা বিষয়টি ভ্রুক্ষেপ করে না। মাঝে মাঝে উচ্ছেদ করা হলেও, আবার দোকান নিয়ে বসে।
তিনি আরো বলেন, আসন্ন ঈদ উপলক্ষে আয়োজিত আগামী আইনশৃঙ্খলা মিটিংয়ে বিষয়টি জোরালোভাবে উত্থাপন করব। পথের ওপর ভাসমান দোকান না থাকলে যাত্রীদের চলাচলে ভোগান্তি দূর হবে।
সতর্কবাণীঃ এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad