মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার টেকেরহাট বন্দরের মুহসিনিয়া হাফিজিয়া মহিলা মাদ্রাসার ম্যানেজার মো. শাহাদাত হোসেনের (২৫) বিরুদ্ধে ওই মাদ্রাসার ছাত্রীকে (১২) ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে ।
এই ঘটনায় মঙ্গলবার সকালে মামলা হলে দুপুরে ধর্ষক শাহাদাত হোসেনকে গ্রেপ্তার করে রাজৈর থানা পুলিশ।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রাজৈর উজেলার টেকেরহাট মুহসিনিয়া হাফিজিয়া মহিলা মাদ্রাসার নাজেরা বিভাগের ছাত্রীকে সোমবার দুপুরে রান্না ঘর ঝাড়ু দেওয়ার নাম করে ডেকে আনে ম্যানেজার শাহাদাত হোসেন। পরে ওই ছাত্রীকে রান্না ঘরে ঠুকিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়। এ সময় ওই ছাত্রী চিৎকার দেওয়ার চেষ্টা করলে মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করে ম্যানেজার। এই ঘটনা কাউকে না বলার জন্য ম্যানেজার ছাত্রীকে হুমকি দেয়।
মঙ্গলবার সকালে বিষয়টি জানাজানি হলে রাজৈর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহানা নাসরিনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ও রাজৈর মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মাহমুদা আক্তার কণার নির্দেশনায় মঙ্গলবার সকালে মহিলা বিষয়ক অফিসের প্রশিক্ষক মোমেনা আক্তার ঘটনাস্থল থেকে ওই মাদ্রাসার ছাত্রীকে উদ্ধার করে অফিসে নিয়ে আসে। পরবর্তীতে মহিলা বিষয়ক প্রশিক্ষক মোমেনা আক্তার বাদী হয়ে ধর্ষক শাহাদাতকে প্রধান আসামি করে রাজৈর থানায় মামলা দায়ের করেন।
রাজৈর থানার এসআই মো. কাওছার কৌশলে ধর্ষক শাহাদাতকে অভিযান চালিয়ে পার্শ্ববর্তী জলিরপাড় বাসষ্ট্যান্ড থেকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। ধর্ষক শাহাদাত ফরিদপুরের ভাঙা উপজেলার সিংগারিয়া মুনসারাবাদ গ্রামের মৃত আজিজুল হক মুন্সীর ছেলে। ধর্ষণের শিকার ছাত্রীকে চিকিৎসার জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এই ব্যাপারে অভিযুক্ত মাদ্রাসার ম্যানেজার শাহাদাত হোসেন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।
রাজৈর মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মাহমুদা আক্তার কনা জানান, ধর্ষণের অভিযোগ পেয়ে আমার অফিসের প্রশিক্ষক পাঠিয়ে ছাত্রীকে উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই ঘটনায় ছাত্রীটির মা বিভিন্ন কারণে মামলা করতে অস্বীকৃতি জানালে প্রশিক্ষক মোমেনা আক্তার বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে।
রাজৈর থানার ওসি মো. শাজাহান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে এবং ধর্ষণের অভিযোগে মাদ্রাসার ম্যানেজারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়াও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মাদ্রাসার এক শিক্ষিকাকে আটক করা হয়েছে।
সতর্কবাণীঃ এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।
No comments:
Post a Comment