মাদারীপুরে টাকা হারিয়ে যাওয়ার অজুহাতে দ্বিতীয় শ্রেণির এক ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ ওঠেছে স্থানীয় একটি মাদ্রাসার শিক্ষকের বিরুদ্ধে। বুধবার বিকালে ওই ছাত্রের মৃত্যু হয়। অভিযুক্ত শিক্ষক পলাতক রয়েছেন।
মাদারীপুর সদর উপজেলার গাছবাড়িয়া কওমি মাদ্রাসায় এই ঘটনা ঘটে। অভিযোগের তীর প্রধান শিক্ষক ইউসুফ আলীর বিরুদ্ধে। আর নিহত আসিফ মাদারীপুর সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের শ্রীনাথদি গ্রামের আনোয়ার মাতুব্বরের ছেলে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দুই দিন আগে আসিফকে টাকা হারিয়ে যাওয়ার অজুহাতে বেদম মারধর করেন ওই শিক্ষক। এই ঘটনায় দ্বিতীয় দফায় বুধবার আবারো মারধর করেন। এতে আসিফ গুরুতর আহত হয়। পরে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে আনলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এই ঘটনায় হাসপাতাল থেকে গাছবাড়িয়া কওমি মাদ্রাসার আবুল বাশার নামে এক শিক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।
এ ব্যাপারে নিহত আসিফের বাবা আনোয়ার মাতুব্বর বলেন, দুই দিন আগে আসিফকে টাকা হারিয়ে যাওয়ার কথা বলে মারধর করেন শিক্ষক। পরে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় সে বাড়ি চলে যায়। বুধবার সকালে দ্বিতীয় দফায় মারধর করেন ওই শিক্ষক। বিকালে আমাদের কাছে ফোনে জানানো হয়, আসিফ অসুস্থ, তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরে এসে দেখি আমার ছেলে মারা গেছে।’
নিহত আসিফের চাচি রোকেয়া বেগম জানান, আসিফ দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র এবং সে মাদ্রাসায় থাকত। বুধবার সকালে মাদ্রাসার শিক্ষক ইউসুফ আলী আসিফকে পিটিয়ে আহত করেন। পরে আবুল বাশার নামের অপর এক শিক্ষক আসিফকে মাদারীপুর সদর হাসপাতলে নিয়ে যান। পরে হাসপাতালে আসিফ মারা যায়।
মাদারীপুর সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার অখিল সরকার জানান, বুধবার বিকালে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে এলে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। কী কারণে মারা গেছে, তা ময়নাতদন্ত করে বলা যাবে।’
এ ব্যাপারে মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সওগাতুল আলম জানান, হাসপাতাল থেকে এই ঘটনায় আবুল বাশার নামের এক শিক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
তবে এই ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক ইউসুফ আলীকে পাওয়া যাচ্ছে না। মাদ্রাসার অন্য শিক্ষকরা ধারণা করছেন, তিনি এই ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন।
সতর্কবাণীঃ এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।
No comments:
Post a Comment