মাছের রাজা ইলিশ দেশের রাজা পুলিশ !!!!! - SongbadProtidin24Online.com

সর্বশেষ সংবাদ

SongbadProtidin24Online.com

সবার আগে নতুন সংবাদ প্রতিদিন

আপনার প্রতিষ্ঠানের জন্য বিজ্ঞাপন দিন

test banner

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Saturday, January 16, 2016

মাছের রাজা ইলিশ দেশের রাজা পুলিশ !!!!!


মাছের রাজা ইলিশ, দেশের রাজা পুলিশ। ঢাকা সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র দাসকে মারধরের সময় এভাবেই দম্ভোক্তি করছিলেন পুলিশ সদস্যরা। অকথ্য ভাষায় গালাগালও করছিলেন তারা। বলছিলেন, দেখি তোর কোন ...এসে তোকে বাঁচায়। 

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এবং পুলিশের নির্যাতনের শিকার বিকাশের সহকর্মী মনোজের বরাত দিয়ে  এসব কথা জানান বিকাশের বৌদি মনি রানী দাস।  

এদিকে এখনো জ্ঞান ফেরেনি ডিএসসিসির পরিদর্শক বিকাশের। শুক্রবার রাতেই তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ল্যাব এইড হাসপাতালে নেয়া হয়। তার কোমর থেকে নিন্মাঙ্গ পর্যন্ত অবশ হয়ে আছে। এছাড়া গলা, কপাল, ঘাড় এবং নাকে আঘাতের চিহ্ন আছে।

ঘটনা তদন্তে ডিএমপি এবং পুলিশ সদর দপ্তরে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ল্যাব এইড হাসপাতালে বিকাশের খোঁজ নিতে শনিবার জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান সেখানে যান।

বিকাশের স্ত্রী স্বরস্বতী  বলেন, শুক্রবার ভোরে প্রতিদিনের মতো বিকাশ যাত্রাবাড়ীর দয়াগঞ্জ থেকে তার মোটর সাইকেল নিয়ে পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের কাজ পরিদর্শনের জন্য বাসা থেকে বের হন। তিনি মীরহাজারীবাগে পৌঁছালে কয়েকজন সাদা পোশাকের পুলিশ তার মোটর সাইকেল থামানোর ইঙ্গিত দেন। মোটরসাইকেল থেকে নামার পরপরই যাত্রাবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আরশাদ হোসেন আকাশ তাকে মারধর করতে শুরু করেন। এরপরপরই অন্য পুলিশ সদস্যরা পিস্তল ও রাইফেলের বাট দিয়ে তাকে বেধড়ক পেটান। 

স্বরস্বতী আরো জানান, সেখানে উপস্থিত ডিএসসিসি কর্মী ও বিকাশের সহকর্মী মনোজ পুলিশকে বলেন যে তিনি (বিকাশ) ডিএসসিসির পরিচ্ছন্নতা পরিদর্শক। উপস্থিত অন্য পরিচ্ছন্নতা কর্মীরাও বিকাশের পরিচয় জানান পুলিশকে। কিন্তু তারপরও পুলিশ সদস্যরা বিকাশকে মারতে থাকেন। এক পর্যায়ে পুলিশ সদস্যরা বিকাশকে একটি ভ্যান গাড়ির উপরে ফেলে রাখেন। পরে পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা বিকাশের স্ত্রীকে ফোন করলে তিনি ঘটনাস্থলে এসে বিকাশকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যান।

বিকাশের সহকর্মী মনোজ এবং অন্যান্য পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের বরাত দিয়ে বিকাশের বৌদি মনি রানী দাস জানান, বিকাশকে মারার সময় পুলিশরা বলতে থাকেন, মাছের রাজা ইলিশ, আর দেশের রাজা হচ্ছে পুলিশ।  

ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অবনি শঙ্কর কর জানান, ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা ছিনতাইকারী ধরার জন্য সেখানে সাদা পোশাকে দায়িত্বরত ছিলেন। তারা বিকাশকে মোটরসাইকেল থামানোর নির্দেশ দিলে তিনি মোটরসাইকেল ফেলে দৌড় দেন। 

তিনি আরো বলেন, এ ঘটনার পর পুলিশ তাবে মারধর করে। পরে পরিচয় পেয়ে তাকে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়।
 
তবে বিকাশের স্ত্রীর দাবি, পুলিশ সদস্যরা তাকে মেরে ঘটনাস্থলেই একটি ভ্যানে ফেলে রাখেন। সেখান থেকে বিকাশকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যান তিনি।

ডিএমপির ওয়ারী জোনের উপ-কমিশনার নুরুল ইসলাম জানান, যাত্রাবাড়ী ও সায়েদাবাদ এলাকায় ভোরে খুব ছিনতাই হয়। হাতেনাতে ছিনতাইকারী ধরতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশেই পুলিশ সদস্যরা সেখানে সাদা পোশাকে দায়িত্বপালন করছিল।

এদিকে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম শনিবার জানিয়েছেন, এ ঘটনা তদন্তে পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত ডিআইজি হারুন উর রশিদের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হযেছে। কমিটিকে আগামী তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। 

এছাড়া ডিএমপির ওয়ারী জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মাইনুল ইসসলাম এবং সহকারী কমিশনার কামরুল ইসলামকে নিয়ে দুই সদস্যের আরেকটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদেরও তিন দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।

আহত বিকাশের তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছেলে ও এবং এক বছর বয়সী এক মেয়ে রয়েছে।  

এ ঘটনায় বিকাশের পরিবার মামলা করবে কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে বিকাশের স্ত্রী জানান, যেহেতু তার স্বামী দায়িত্বরত অবস্থায় আহত হয়েছেন, তাই ডিএসসিসি কর্তৃপক্ষেরেই মামলা করার কথা। যদি তারা না করে তবে পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা হবে। তবে সবার আগে বিকাশকে সুস্থ করে তোলাটাই এখন সবচেয়ে বড় বিষয়।  

 সতর্কবাণীঃ এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad

Responsive Ads Here