বর্তমান সময়ের সামাজিক যোগাযোগের সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম ফেসবুকে যোগ দিয়েছেন বিখ্যাত পদার্থবিদ স্টিফেন হকিং। ৭ অক্টোবর ফেসবুকে যোগ দেন তিনি। হকিংয়ের পেজটিকে ইতোমধ্যেই স্বীকৃতিও দিয়েছে ফেসবুক।
২৪ অক্টোবর হকিংয়ের এ পেজটি থেকে একটি ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে যেখানে দেখা যাচ্ছে জীবন্ত এ কিংবদন্তীকে আইস বাকেট চ্যালেঞ্জ নিতে। তবে হকিংয়ের হয়ে চ্যালেঞ্জটা মূলত নেয় তার তিন সন্তান। হকিং বলেছেন, ‘এক বালতি ঠাণ্ডা পানি আমার শরীরে ঢেলে দেয়াটা খুব একটা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।’
হকিংয়ের ফেসবুকে যোগ দেয়াটা বিজ্ঞানপ্রেমীদের কাছে নিঃসন্দেহে অসাধারণ একটা সংবাদ। তবে হঠাৎ করে হকিংয়ের ফেসবুকে যোগ দেয়াটাকে অনেকে তাকে নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্র দ্য থিওরি অব এভরিথিং-এর প্রচারের একটা অংশ হতে পারে বলেও মনে করছেন। চলচ্চিত্রটি মূলত নির্মিত হয়েছে হকিংয়ের প্রথম স্ত্রী জেনের লেখা ‘ট্রাভেলিং টু ইনফিনিটি: মাই লাইফ উইথ স্টিফেন’ বইটি অবলম্বনে। যদি আসলেও এই চলচ্চিত্রের প্রচারের জন্যই হকিং ফেসবুকে এসে থাকেন তারপরও এই পেজটির মাধ্যমে সারা বিশ্বের অগণিত মানুষ হকিংয়ের চিন্তা সম্পর্কে জানতে পারবেন আগের চেয়ে সহজে।
ইতোমধ্যে প্রায় ১২ লাখ মানুষ লাইক দিয়েছেন বিশ্বের অন্যতম বিস্ময়কর এই বিজ্ঞানীর পেজটিতে।
৭ অক্টোবর ফেসবুকে যোগ দিলেও হকিং তার প্রথম স্ট্যাটাসটা দিয়েছেন ২৪ অক্টোবর। ওই স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, মহাবিশ্বের অস্তিত্ব সবসময়ই আমাকে বিস্মিত করেছে। সময় আর মহাকাশ হয়তো সবসময় একটা রহস্যই থেকে যাবে, কিন্তু তাতে আমার সাধনা থামেনি। একে অপরের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ বহু গুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সব কথাই আমি সবাইকে জানিয়ে দিতে চাই। সবসময় সবার মাঝে অজানাকে জানার আগ্রহ থাকুক, আমি জানি আমার মাঝে থাকবে।
No comments:
Post a Comment