শেয়ারবাজারে তালিকাভূক্ত রসায়ন খাতের কোম্পানি কেয়া কসমেটিকসের সঙ্গে বস্ত্রখাতের তিন কোম্পানি একীভূত হওয়ার প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
রোববার বিচারপতি মো. রেজাউল হাসানের একক বেঞ্চ এ সংক্রান্ত আবেদন মঞ্জুর করে রায় ঘোষণা করেন।
প্রস্তাব অনুযায়ী, কেয়া কসমেটিক্সের সঙ্গে বস্ত্র খাতের যে তিনটি কোম্পানি একীভূত হবে সেগুলো হলো- কেয়া নিটিং মিলস, কেয়া কটন মিল ও কেয়া স্পিনিং মিলস লিমিটেড।
একীভূত হওয়ার ক্ষেত্রে কোম্পানিগুলোর দায় বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী স্থানান্তর হবে। আর কোম্পানিগুলো একত্রিত হবে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নিয়ম অনুযায়ী।
একীভূত সংক্রান্ত প্রস্তাব বিষয়ে আদালত সংক্ষিপ্ত রায় দিয়েছেন। পূর্ণাঙ্গ রায়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত উল্লেখ থাকবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা।
কোম্পানিগুলো একীভূত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এর দায় বর্তাবে কেয়া কসমেটিকসের ওপর। একীভূত হলেও এসব দায় নিরাপদ বলে বিভিন্ন ব্যাংকের দেয়া অনাপত্তিপত্র (এনওসি) আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে। তবে একীভূত হওয়ার পর প্রায় ৫৭০ কোটি টাকা ঋণের বিপরীতে পূবালী ব্যাংকের কাছে কেয়া কসমেটিক্সের ৪৩ শতাংশের বেশি শেয়ার লিয়েন রাখতে হবে বলে জানিয়েছে আইনজীবী এমএ হান্নান।
এছাড়া কোম্পানিগুলোর নিরীক্ষা প্রতিবেদন ও সম্পদ মূল্যায়ন প্রতিবেদন কোম্পানির বোর্ড সভায় অনুমোদনের পর তা আদালতে দাখিল করে আবেদনকারী কোম্পানিগুলো।
আদালতে কেয়া কসমেটিক্স ও আবেদনকারী কোম্পানিগুলোর পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী ও দেবাশীষ রায় চৌধুরী।
বিএসইসির পক্ষে ছিলেন প্রবীর নিয়োগী ও পূবালী ব্যাংকের পক্ষে এমএ হান্নান আদালতে রোববার উপস্থিত ছিলেন।
বিএসইসির আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী সাংবাদিকদের বলেন, ‘একীভূত হওয়ার আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। তবে এ বিষয়ে কিছু নির্দেশনা ও পর্যবেক্ষণ থাকবে, পূর্ণাঙ্গ রায় পাওয়া গেলে বিস্তারিত জানা যাবে।’
কেয়া কসমেটিক্সের পক্ষের আইনজীবী দেবাশীষ রায় চৌধুরী বলেন, ‘একীভূত হওয়ার প্রস্তাবে আদালত আমাদের যেসব শর্ত দিয়েছিল, আমরা তা পূরণ করেছি।’
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ২০ অক্টোবর কেয়া কটন মিলস, কেয়া স্পিনিং মিলস ও কেয়া নিট কম্পোজিট লিমিটেডকে কেয়া কসমেটিক্সের সঙ্গে একীভূতকরণের ঘোষণা দেয়া হয়। এর আগে ২০১১ সালে কেয়া কটন মিলস ও কেয়া স্পিনিং মিলস শেয়ারবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহের উদ্দেশ্যে আইপিওর আবেদন জানায়। দুটি প্রতিষ্ঠানই ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের শেয়ারের বরাদ্দ মূল্য ৪০ টাকা (৩০ টাকা প্রিমিয়ামসহ) প্রস্তাব দেয়। পরবর্তীতে ২০১২ সালের ৭ জুন কেয়া কটন মিলস প্রিমিয়াম কমিয়ে প্রতিটি শেয়ার ৩০ টাকায় বরাদ্দের আবেদন জানায়। কিন্তু উদ্যোক্তা ও সংশ্লিষ্ট কোম্পানির সিআইবি রিপোর্ট ইতিবাচক না হওয়ায় দুটি আইপিও আবেদনই প্রত্যাহার করে নেয়া হয়।
কোম্পানির দেয়া তথ্যানুযায়ী, একীভূত হওয়ার জন্য ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের কেয়া কসমেটিকসের প্রতিটি সাধারণ শেয়ারের মূল্য ২৬ টাকা, কেয়া নিট কম্পোজিটের ১৯ টাকা, কেয়া কটন মিলসের ৩৭ টাকা ও কেয়া স্পিনিং মিলসের ৪১ টাকা হিসাবে নেয়া হয়েছে।
সতর্কবাণীঃ
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।
No comments:
Post a Comment