পাবলিক পরীক্ষাগুলোর প্রশ্নপত্র ফাঁসের ইদানিং অহরহ ঘটছে। এরই ধারাবাহিকতায় এবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনার্স প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করেছে সংঘবদ্ধ একটি চক্র।
শুক্রবার বগুড়া শহরের বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্রে ঘুরে প্রশ্নপত্র ফাঁসের এই দৃশ্য দেখা গেছে। বিষয়টি নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রের সামনে বেশ সমালোচনা করতে দেখা গেছে।
পরীক্ষা শুরুর আধা ঘণ্টা আগেই কেন্দ্র থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁস করে সংঘবদ্ধ এই চক্রটি। এরপর নির্দিষ্ট স্থানে বসে প্রশ্নের উত্তর তৈরী করে তা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রার্থীদের কাছে পৌঁছে দেয়। পরীক্ষা শুরুর ১০ মিনিট আগেও পরীক্ষার্থীদের মোবাইল ফোনে মেসেজ আকারে প্রশ্নের উত্তর আসতে দেখা গেছে।
সরেজমিনে কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে বগুড়ার কয়েকটি সরকারি-বেসরকারি কলেজের শিক্ষক, সরকার দলীয় কিছু ছাত্র নেতা ও মেধাবী ছাত্ররা সরাসরি জড়িত। ১শ’ নম্বরের নৈর্ব্যত্তিক পরীক্ষার মধ্যে বাংলা, ইংরেজি ও সাধারণ জ্ঞানের জন্য ৫০ নম্বরের উত্তর তৈরী করে তা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরীক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য দুই হাজার থেকে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করছে চক্রটি।
পরীক্ষার আগের দিন এই চক্রটি তাদের নিয়োজিত দালালদের মাধ্যমে পরীক্ষাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে টাকা এবং মোবাইল ফোন নম্বর নিয়ে রাখে। পরীক্ষা শুরুর পর প্রার্থীদের কাছে ফাঁস করা প্রশ্নের উত্তর পাঠিয়ে দেয়া হয়।
শুক্রবার সকালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনার্স প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা শুরুর পর বগুড়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট কেন্দ্রের সামনে দেখা গেছে, একটি স্বনামধন্য কলেজের এক শিক্ষক ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ইউনিফর্ম পরিহিত অবস্থায় কেন্দ্রের সামনে প্রশ্নপত্র ফাঁস করা টাকার ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে দর কষাকষি করছেন।
তবে বিষয়টি নিয়ে সেখানে সমালোচনা শুরু হলে প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষকে ঘটনাটি জানান অভিবাবকরা। পরে অধ্যক্ষের হস্তক্ষেপে ওই শিক্ষক স্থান ত্যাগ করেন।
শুক্রবার বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় বগুড়ার তিনটি সরকারি ও একটি বেসরকারি কলেজের ছয় হাজার ৪৭১টি আসনের বিপরীতে ১৫ হাজার ৫৭৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছে।
সতর্কবাণীঃ
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।
No comments:
Post a Comment