ঢাকা: আওয়ামী লীগের দিকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগ তুলেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, “স্বাধীনতার উষালগ্ন থেকেই মুক্তিযুদ্ধের সাফল্যকে দলীয়করণ করার অপচেষ্টা শুরু হয়। সেই হীন উদ্দেশ্যে স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসকেও বিকৃত করার প্রক্রিয়া চলে। আপনারা (মুক্তিযোদ্ধা) দৃঢ়কণ্ঠে বলবেন, স্বাধীনতা যুদ্ধ কোনো দলের যুদ্ধ ছিল না। এটা ছিল জাতীয় যুদ্ধ। অতীতের মতো এর বিরুদ্ধেও আপনারা রুখে দাঁড়াবেন।”
ইঙ্গিত দিয়ে খালেদা বলেন, “একটি বিশেষ দল স্বাধীনতাযুদ্ধের মনগড়া ইতিহাস বলে যাচ্ছে। সেই খণ্ডিত ও বিকৃত ইতিহাসকে শুদ্ধ করে বলতে গেলে কিংবা চ্যালেঞ্জ করলেই তারা তেলে-বেগুনে জ্বলে ওঠে। তথ্য উপাত্ত দিয়ে কথা বললেই তারা সুষ্ঠু জবাব না দিয়ে অশ্লীল গালিগালাজ ও হুমকি-ধমকি শুরু করে দেয়। এর কারণ স্বাধীনতা যুদ্ধে তাদের ভূমিকা ছিল প্রশ্নবিদ্ধ।”
খালেদা জিয়া দাবি করেন, ১৯৭১ সালের মার্চে আওয়ামী লীগের নেতাদের ব্যর্থতার পটভূমিতে জিয়াউর রহমান বিদ্রোহ করেছিলেন। হানাদার বাহিনীর অধিনায়ক জানজুয়াকে হত্যা ও বাকিদের বন্দী করেছিলেন। বেতার মারফত স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে স্বাধীনতাযুদ্ধের সূত্রপাত ঘটিয়েছিলেন। তাঁর ঘোষণার মাধ্যমেই বিদ্রোহ উন্নীত হয়েছিল বিপ্লবে। প্রতিরোধযুদ্ধ উন্নীত হয়েছিল স্বাধীনতার যুদ্ধে।
দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিবাদ ও আন্দোলন সংগঠিত করার আহ্বান জানিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, ‘অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা ন্যায়সংগত। আজ সেই ন্যায়সংগত বিদ্রোহ সংগঠিত করার সময় এসেছে।’
নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি জানিয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, ‘সকলের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। আমাদের শান্তিপূর্ণ আহ্বানে তারা সাড়া দেয়নি। তাই আমাদের বসে থাকার আর কোনো উপায় নেই। দেশের জনগণ আন্দোলন চায়, পরিবর্তন চায়।’
মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপিত্বে উপস্থিত আছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপির) চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমদ, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, আব্দুল্লাহ আল নেমান, শমসের মবিন চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ব্যারিষ্টার শাহজাহান ওমর, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর (অব.) ইব্রাহিম, বিএনপির প্রচার বিষয়ক সম্পাদক জয়নুল আবদিন ফারুক, অর্থনীতি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সালাম, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ইসমাঈল হোসেন বেঙ্গল, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক শফিউজ্জামান খোকন, মুক্তিযোদ্ধা সাদেক খান প্রমুখ।
No comments:
Post a Comment