কিংস কাপের শিরোপা জিতে শেখ জামালের ইতিহাস সৃষ্টি !!!!! - SongbadProtidin24Online.com

সর্বশেষ সংবাদ

SongbadProtidin24Online.com

সবার আগে নতুন সংবাদ প্রতিদিন

আপনার প্রতিষ্ঠানের জন্য বিজ্ঞাপন দিন

test banner

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Tuesday, December 2, 2014

কিংস কাপের শিরোপা জিতে শেখ জামালের ইতিহাস সৃষ্টি !!!!!


ভুটানে অনুষ্ঠিত কিংস কাপ ফুটবলের ফাইনালে ভারতের পুনে এফসিকে হারিয়ে ইতিহাস গড়লো বাংলাদেশের শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। থিম্পুর চাংলিমিথাং স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত কিংস কাপের ফাইনালে ভারতের দলটিকে ১-০ গোলে হারিয়েছে শেখ জামাল। কিংস কাপের কিং হয়ে ভুটানের মাটিতে উড়িয়েছে বাংলাদেশের পতাকা।



শুরুতেই গোল করে এগিয়ে গিয়েছিল শেখ জামাল। ২৫ মিনিটেই হেড থেকে পুনের জালে বল জড়ান শেখ জামালের ইয়াসিন খান। অবশ্য এরপর প্রথমার্ধে আর কেউ কারও জালে বল প্রবেশ করাতে পারেনি। দ্বিতীয়ার্ধে অনেক চেষ্টা করেও শেখ জামালের গোলটি শোধ করতে পারেনি পুনে।

গত ফেব্রুয়ারিতেই আইএফএ শিল্ডের ফাইনালে উঠে শিরোপা জিততে ব্যার্থ হয়েছিল বাংলাদেশের প্রিমিয়ার লিগ জয়ী দলটি। কলকাতার শক্তিশালি মোহনবাগানের সঙ্গে এগিয়ে থেকেও শেষ পর্যণ্ত ১-১ গোলে ড্র করে ভাগ্য নির্ধারনী টাইব্রেকারে হারতে হয়েছিল বাংলাদেশের দলটিকে। মূলত রেফারির পক্ষপাতিত্বের কারণেই ওই শিরোপাটি জিততে পারেনি শেখ জামাল।

এ কারণে থিম্পুতে শেখ জামাল আর পুনের ম্যাচটি পরিণত হয়েছিল বাংলাদেশ-ভারতের লড়াইয়ে। গ্রুপ পর্বে ভারতের মোহনবাগানকে হারিয়েছিল শেখ জামাল। আবার বাংলাদেশের আবাহনীকে হারিয়েছিল পুনে এফসি।

আইএফএ শিল্ডের দুঃখই ভূটানের কিংসকাপ জয়ের মধ্য দিয়ে ঘোচাল শেখ জামাল। এদিনও তারা হারালো ভারতেরই শক্তিশালি একটি দলকে। যারা পুরো টুর্নামেন্টেই কোন ম্যাচ না হেরে ফাইনালে উঠেছিল এবং সেমিফাইনালে তারা হারিয়েছিল ভারতেরই আরেকটি শক্তিশালি ক্লাব মোহনবাগানকে।

মূলত খর্ব শক্তির একটি দল নিয়ে ফাইনালে পুনোর মোকাবেলা করতে হয়েছে শেখ জামালকে। কার্ডের কারণে ফরোয়ার্ড সোহেল রানা ছিলেন দলের বাইরে। জ্বরের কারণে এমেকাকে নিয়েও সংশয় ছিল। শেষ পর্যন্ত অবশ্য এমেকাকে পেয়েছিলেন কোচ মারুফুল হক। এছাড়া লাল কার্ডের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফাইনালে ফিরেছেন ওয়েডসন। তবে শেষ পর্যন্ত এদের কেউ নন, বাজিমাত করেছেন ইয়াসিন খান।

তবে শেখ জামালই প্রথম নয়, দেশের বাইরে প্রথম শিরোপা জয়ের কৃতিত্ব দেখিয়েছিল আরামবাগ। ১৯৮০ সালে নেপালের আনফা কাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল তারা। এর দু’বছর পরই অথ্যাৎ ১৯৮২ সালে ঢাকা মোহামেডান জিতেছিল ভারতের আশিশ-জব্বার স্মৃতি  টুর্নামেন্টের শিরোপা। মোহামেডানের কৃতিত্ব ছিল আরও কয়েকটি। ঢাকার ঐতিহ্যবাহী আরেক ক্লাব, আবাহনীও বিদেশের মাটিতে শিরোপা জয়ের গৌরব অর্জণ করেছিল। ১৯৯১ সালে ভারতের নাগজি ট্রফি এবং ১৯৯৩ সালে চার্মস কাপে শিরোপা জিতেছিল তারা। এছাড়া মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়াচক্র জিতেছিল ম্যাগডোনাস কাপ।

সতর্কবাণীঃ
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad

Responsive Ads Here