ঢাকা: রাজধানীর শাহজাহানপুরে রেল কলোনিতে পাইপের মধ্যে ‘পড়ে’ যাওয়া শিশু জিহাদের বাবা নাসির বকুলের আচরণ ছিল রহস্যময়। ঘটনার পর শুক্রবার রাত ২টার দিকে তার সঙ্গে কথা হয় কয়েকজন সাংবাদিকের। ওই সময় তার মধ্যে সন্তানের এতো বড় বিপদের জন্য কোনো উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার বহিঃপ্রকাশও দেখা যায়নি।
তার সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও তিনি ছিলেন প্রায় নিরব। শুধু জানান, মতিঝিল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের দারোয়ান তিনি। গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুরে। রেল কলোনিতে তিনি ৪১ নম্বর বাসায় থাকেন।
তবে তার সঙ্গে কথা বলার একপর্যায়ে স্থানীয় দুইজন যুবলীগ নেতা নাসির বকুলকে কৌশলে সাংবাদিকদের সামনে থেকে সরিয়ে নিয়ে যান। পরে অবশ্য ওই দুই নেতার নাম জানার চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি। পাশে থাকা কয়েকজন শুধু জানিয়েছেন, তারা যুবলীগ নেতা।
এদিকে জিহাদের মা খাদিজা বেগম দাবি করেন তার স্বামীকে পুলিশ থানায় ধরে নিয়ে গেছে। পরে শাহজাহানপুর থানায় যোগাযোগ করা হলে ডিউটি অফিসার এসআই শ্যামল চন্দ্র নাসির বকুলকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, রাজধানীর শাহজাহানপুরে রেলওয়ে কলোনিতে দুপুরে প্রায় ৬শ ফুট গভীরে ১৭ ইঞ্চি ব্যাসের পানির পাইপে জিহাদ নামে সাড়ে তিন বছরের শিশুটি পড়ে যায়। শিশুটিকে উদ্ধারে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
স্থানীয়রা জানান, শিশুটি খেলতে খেলতে হঠাৎ করে উন্মুক্ত পাইপটির ভেতরে পড়ে যায়। পরে বাচ্চাটিকে জীবিত উদ্ধারের চেষ্টা চলায় ফায়র সার্ভিস। তার শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখতে অক্সিজেন সরবরাহ করা হয়। রশি নামিয়ে উপর থেকে চিৎকার করে তা ধরতেও বলা হয়।
তখন শিশুটি বেঁচে আছে বলে দাবি করে ফায়ার সার্ভিস। কারণ উপর থেকে পাঠানো জুস শিশুটি খেয়েছে বলেও দাবি করা হয়।
স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা গেছে, পানির পাম্পটি অনেকদিন পরিত্যক্ত ছিল।
No comments:
Post a Comment