‘পূরবীতে কোন সিনেমা চলছে আপনারা দেখেছেন? পূরবীতে চলছে- ‘বোমা খালেদা’। যিনি পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ হত্যার হুকুম দিচ্ছেন, সেই খালেদা।’
বুধবার (২৮ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর মিরপুর পূরবী সিনেমা হলের সামনে ১৪ দলের হরতাল-অবরোধবিরোধী প্রতিবাদ সমাবেশে এ সব কথা বলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা।
তিনি পূরবী সিনেমা হলের ব্যানারের দিকে অঙুলি নির্দেশ করে বলেন, ওই দেখেন, পূরবীতে চলছে ‘বোমা খালেদা’।
যদিও ওই ব্যানারের কোথাও ‘বোমা খালেদা’ উল্লেখ ছিল না। ব্যানারের ডান দিকে নিচ বরাবর ‘খুনি খালেদা’ কথাটি উল্লেখ ছিল।
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে ইলিয়াস মোল্লা বলেন, তার দল ২০টি। জনগণের পেটে বিষ। ঘরে বসে তিনি দেখেন ডিশ। তিনি নাকি মধ্যবর্তী নির্বাচন চায়। কিন্তু, স্বাধীনতার পর দেশে কোনো মধ্যবর্তী নির্বাচন হয়নি; ভবিষ্যতেও হবে না।
ইলিয়াস মোল্লা বিএনপির প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেন, ঢাকা-১৬ আসনই ঢাকার প্রাণ। এখানে অবরোধ চলে না। সারাদেশে অবরোধ, বোমাবাজি হলেও এখানে হবে না। এখানে হরতালে যানবাহন চলবেই। দোকানপাট খুলবেই। যদি সাহস থাকে, তবে এ আসনেই কিছু করে দেখান।
তিনি বলেন, আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সব প্রতিহত করবো।
এদিন পূরবী সিনেমা হলের ব্যানার টানানোর স্থানে দেখা যায়, পল্লবী থানা ও রূপনগর থানা আওয়ামী লীগের ব্যানার। ব্যানারগুলোতে খালেদাকে কটাক্ষ করে কয়েকটি বাক্য লেখা ছিল।
হলের বাইরে প্রধান বিলবোর্ডে বড় একটি ব্যানার টানানো হয়। ব্যানারের বামদিকে নিচে লেখা ছিল- ‘ওরা দেশের শত্রু, ওদের রুখতে হবে’। পাশেই ছিল জামায়াত নেতা মুজাহিদের ব্যঙ্গচিত্র। ব্যানারের ডানদিকে মাঝ বরাবর লেখা- ‘খুনি খালেদা’। মাঝ বরাবর নিচে ‘ওরা আগুন লাগিয়ে আমাদের স্বাধীনতা হরণ করতে চায়’ এবং ডান দিকের নিচে ‘কেড়ে নিলো স্কুলশিশুর জীবন’ লেখা ছিল।
সমাবেশে বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, আমাদের সঙ্গে আলোচনা করতে হলে জঙ্গিবাদকে ছাড়তে হবে এবং জানমালের যে ক্ষতি হয়েছে, তার ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
তিনি বলেন, মুখে সংলাপের কথা বলে গেটে তালা দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে আটকে দেওয়া হয়েছে, যা শিষ্টাচার বহির্ভূত। বিএনপির নেতারাও এর সমালোচনা করেছেন। কিন্তু তারেকের ভয়ে কেউ কিছু বলতে পারছেন না।
রাশেদ খান মেনন আরো বলেন, আপনাদের দাবির প্রতি আস্থা থাকলে রাজপথে নেমে আন্দোলন করে প্রমাণ করুন দেশের সাধারণ জনগণ আপনাদের সঙ্গে আছে। কিন্তু অবরোধের নামে দেশের অর্থনীতির কোনো ক্ষতি করবেন না। দেশ্বের স্বার্থে অবরোধ প্রত্যাহার করুন।
তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামীকে পরিহার করলে গণতান্ত্রিক পন্থায় আলোচনা হতে পারে। তবে সে আলোচনায় কোনো শর্ত থাকবে না। শর্ত দিয়ে কোনো আলোচনা হয় না।
এদিকে, সমাবেশ চলাকালে ওই এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হলে যাত্রীদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
ঢাকা-১৬ আসনের সংসদ সদস্য ও পল্লবী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লার সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন- স্বাস্থ্যমন্ত্রী মো. নাসিম, বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম প্রমুখ।
সতর্কবাণীঃ
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ
No comments:
Post a Comment