রানা প্লাজা ধ্বসের দুই বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো ৩০ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্তের দাবিও পূরণ হয়নি বলে জানিয়েছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।
মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির দুই বছর পূর্তি উপলক্ষে সিপিডির এক সংলাপে এ সব তথ্য তুলে ধরা হয়। এতে একটি পর্যবেক্ষণ-প্রতিবেদনও প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।
গবেষণা প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন প্রতিষ্ঠানটি গবেষণা পরিচালক গোলাম মোয়াজ্জেম। সিডিপি জানায়, এখনো ১৫৯ জন শ্রমিক নিখোঁজ রয়েছেন। সাভারে ভবন ধ্বসের পর বিচ্ছিন্নভাবে বেশ কিছু কাজ হচ্ছে। তবে এ সবের মধ্যে সমন্বয় ও স্বচ্ছতার অভাব স্পষ্ট। তাই জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করলেই সামগ্রিকভাবে এগোনো সম্ভব।
সিপিডির সম্মানিত ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শ্রম মন্ত্রণালয়ের সচিব মিকাইল শিপার, বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী, সিপিডির নির্বাহী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান এবং রানা প্লাজা ধ্বসে আহত শ্রমিক মরিয়ম বেগম, মনোয়ারা বেগম ও উদ্ধার-কর্মীরা বক্তব্য দেন।
এ ছাড়া ওই ঘটনায় নিহত শ্রমিকরা প্রতিশ্রূত ক্ষতিপূরণের ৭০ শতাংশ পেলেও আহত, পঙ্গু ও চাকরি হারানো শ্রমিকরা রয়েছেন কষ্টকর জীবনে। ওই সময়ের অধিকাংশ শ্রমিকের জীবনযাত্রার মান নিন্মমানের হয়েছে। অনেকে এখনো কাজ করার অনুপযোগি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সেই সময়ে আহত শ্রমিকরা তাৎক্ষণিক বিভিন্ন সংগঠনের সহায়তায় চিকিৎসা পেয়েছে। পরবর্তীতে ঢাকা ও সাভারের আশপাশের শ্রমিকরা কিছু সহায়তা পেলেও বাইরের জেলাগুলোর শ্রমিকরা এ সুবিধা থেকে বঞ্চিত।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, রানা প্লাজায় নিহত শ্রমিকদের সন্তানদের জন্য বিজিএমইএ’র পক্ষ থেকে বিভিন্ন সংস্থা থেকে ৫১৩ জন শিশুকে পুর্নবাসন করা হয়েছে। আর বিলস্ থেকে ২৫ জন এতিম শিশুকে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে তেমন কোনো সুবিধা পায়নি অন্য শিশুরা।
সংলাপে শ্রম সচিব জানান, এ ঘটনায় হতাহতদের এ যাবৎ ১৮৩ কোটি টাকা সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে বিদেশি সংস্থাগুলো দিয়েছে ১৬২ কোটি টাকা এবং প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে ২১ কোটি টাকা। এ প্রক্রিয়া চলমান বলেও জানান সচিব।
লিংকা - ‘বিল্ডিং দেখলেই ভয় পাই’
সতর্কবাণীঃ
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।
No comments:
Post a Comment