সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত মিশরের গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রথম প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির বিরুদ্ধে ২০ বছরের কারাদণ্ড ঘোষণা করেছে দেশটির একটি আদালত।
ক্ষমতায় থাকাকালে বিক্ষোভকারীদের হত্যার এক অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) এ রায় ঘোষণা করে আদালত।
দুই বছর আগে সেনাবাহিনীর হাতে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর মিশরের প্রথম গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির বিরুদ্ধে এবারই প্রথম কোনো রায় ঘোষিত হল।
২০১২ সালের ৫ ডিসেম্বর প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের সামনে তিন বিক্ষোভকারীকে হত্যা ও বেশ কয়েকজনকে নির্যাতনের অভিযোগে এ রায় ঘোষণা করলো আদালত। এ মামলায় মুরসিসহ তার ১৪ সহযোগীকেও আসামি করা হয়।
এদিকে, মুরসির বিরুদ্ধে আরো দু’টি মামলা চলমান রয়েছে বলে জানা গেছে। মামলা দু’টির একটিতে বিদেশি শক্তির চর হিসেবে কাজ করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। অপরটিতে ২০১১ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারক বিরোধী আন্দোলনের সময় জেল থেকে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
আগামী ১৬ মে এ মামলা দু’টির রায় ঘোষণার কথা রয়েছে। এই মামলা দু’টিতে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হতে পারে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মুরসির বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের আদেশের বিষয়টি কিছুতেই উড়িয়ে দেওয়া যায় না। এর আগে মুসলিম ব্রাদারহুড নেতাদের মৃত্যুদণ্ড ঘোষিত হওয়াকে যুক্তি হিসেবে উপস্থাপন করছেন তারা এক্ষেত্রে।
২০১৩ সালের ৩ মে এক সেনা অভ্যুত্থানে মোহাম্মদ মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করে মিশরের ক্ষমতা দখল করেন দেশটির সাবেক সেনাপ্রধান ও বর্তমান প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ আল-সিসি।
এরপর মুসলিম ব্রাদারহুড কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে নিপীড়নমূলক অভিযান শুরু করে নতুন প্রশাসন। এতে দেড় হাজারেরও বেশি ব্রাদারহুড সমর্থক নিহত ও হাজার হাজার কর্মী-সমর্থক আটক হন।
এদের মধ্যে শতাধিককে দ্রুত বিচারের মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়, যাকে ‘সাম্প্রতিক ইতিহাসে নজিরবিহীন‘ বলে আখ্যায়িত করেছে জাতিসংঘ।
সতর্কবাণীঃ
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।
No comments:
Post a Comment