নিজস্ব প্রতিবেদক,মাদারীপুর: মাদারীপুর সদর উপজেলার মস্তফাপুর ইউনিয়নের
চাপাতলী গ্রামের সিএনজি চালকের ছেলে সাইফুল ইাসলাম মস্তফাপুর বহুমূখী উচ্চ
বিদ্যালয় থেকে এ+ পেয়েছে।
মস্তফাপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় গত বারের
চেয়ে এবার এসএসসির ফলাফল নিম্মমূখী, এসএসসি ২০১৪ প্রায় ৯৫% ছিল আর এসএসসি
২০১৫ প্রায় ২০% নিম্মমূখী, আর যারা ফেল করেছে তার বেশীর ভাগ গনিত ও
ইংরেজীতে করেছে বলে জানা যায়। কারন হিসাবে জানা যায় বিদ্যালয়ে সঠিক
ব্যবস্থপনার অভাব, ১২ মাসে ১ মাসের বেশী ফুল ক্লাস না হওয়া, কোচিং এর কথা
বলে কোচিং না করানো, যতেষ্ট পরিমানে শিক্ষক না থাকা এবং কিছু শিক্ষক
বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকা সত্তেও ঠিকমত ক্লাস না নেওয়া ইত্যাদি।
সাইফুল ইসলামের মা রেবেকা সুলতান জানান
আমার ছেলে গোল্ডেন এ+ পেত স্কুলের অবেহেলার কারনে হয়েছে। স্কুলে কোচিং
হওয়ার কথা থাকলেও কোন কোচিং হয় নাই। আমি অনেক আসা করে মস্তফাপুর স্কুলে
ভর্তি করেছিলাম কিন্তু স্কুলে ঠিকমত ক্লাস হতো না, শিক্ষকরা ঠিক মত ক্লাস
কারাতো না। আমি গরিব আমাদের বসত বাড়ীর জমি ও আল্লাহ ছাড়া আর কেউ নাই। আমি
গরিব আমার স্বামী ঢাকা ভাড়ায় সিএনজি চালায় তাই দিয়ে আমাদের সংসার ও ছেলে-
মেয়েদের খরচ যোগাতে হিমশিম খেতে হয়। অনেক স্বপ্ন নিয়ে আমার ছেলেকে পড়াশুনা
করাচ্ছি সে একদিন ডাক্তার হবে দেশ ও গ্রামের নাম উজ্জল করবে।
কিন্তু এতো খরচ কিভাবে সংগ্রহ করবো আমার
পরিবারে মেয়েদের বিয়ে দিয়েছি এখন দুটি ছেলে যদি কোন বিত্তবান মানুষ আমার
ছেলে পড়শুনার জন্য সহযোগীতা করত তাহলে ছেলে তার ও আমাদের উপকারে আসতে
পারতো। তাই আমি বিত্তবানদের সার্বিক সহযোগীতা চাই।
সাইফুল ইসলাম জানান আমি যা চেয়েছিলাম তা
পাই নাই, এটা আমি আসা করি নাই। আমার বাবা- মা অনেক কষ্ট করে পড়াশুনা খরচ
যোগাড় করেছে আমাকে কোন অভাব বুজতে দেয়নী। তারপর ও আমি আমার মা-বাবা ও
শিক্ষকদের ধন্যবাদ জানাই। তবে যদি আমাদের স্কুলে শিক্ষকরা যদি আর একটু
কেয়ার নিতো, কোচিং করাতো, রেশারেশি না করত তাহলে গত বারের যে এবার এসএসসির
ফলাফল আরও ভালো হতো।
সতর্কবাণীঃ
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।
No comments:
Post a Comment