মক্কায় মসজিদ-আল-হারামে ক্রেন ভেঙ্গে ১শ’ ৭ হাজি নিহতের ঘটনাকে ‘দৈব কর্ম’ বলে আখ্যায়িত করেছেন মসজিদ সম্প্রসারণের কাজে নিয়োজিত এবং ক্রেনের মালিক বিন লাদেন গ্রুপের এক প্রকৌশলী। তিনি বলেন, দুর্ঘটনাটি কোনো যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে হয়নি; হয়েছে স্রষ্টার ইচ্ছায়।
প্রবল ঝড়-বৃষ্টির সময় বজ্রপাতে ভেঙ্গে পড়া ক্রেনের অংশ পড়ে ১০৭ জন নিহত হওয়া ছাড়াও আহত হন আরো দুই শতাধিক মানুষ।
বিন লাদেন গ্রুপের প্রকৌশলী জানান, বিশাল প্রকল্পের অংশ হিসেবে ক্রেনটি অন্য ক্রেনগুলোর মতোই গত ৩/৪ বছর ধরে কোনো সমস্যা ছাড়াই একই জায়গায় রাখা ছিলো। কিন্তু এর আগে সেগুলো কোনো দুর্ঘটনার কারণ হয়নি।
তিনি বলেন, ‘আমি শুধু এতোটুকুই বলতে পারি, যা হয়েছে তাতে মানুষের কোনো হাত ছিলো না। কোনো ধরনের যান্ত্রিক ত্রুটি ছিলো না সেটা। পুরোটাই ঘটেছে সম্পূর্ণ দৈবভাবে।’
ভেঙ্গে পড়া ক্রেনটি কাবা শরীফের চারপাশে তাওয়াফ করার স্থানটি সম্প্রসারণের কাজে ব্যবহার হচ্ছিলো। হাজার হাজি একসঙ্গে সেখানে কাবা তাওয়াফ করেন। তাই তাদের যেনো কোনো অসুবিধা না হয়, সেভাবেই ক্রেনটি বসানো হয়েছিলো।
তিনি বলেন, ঘটনার সময় ক্রেনের সঙ্গে লাগানো শক্তিশালী ভারী আংটাটি ঝড়ে ভীষণভাবে দুলতে থাকে, যার কারণে পুরো ক্রেনটিই ঘুরে পড়ে ওই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটায়।
অর্থাৎ ক্রেনটি পেশাদারিত্বের সঙ্গেই স্থাপন করা হয়েছিলো বলে দাবি করে তিনি বলেন, কয়েক বছর ধরে ক্রেনটি নিরাপদে ব্যবহার করা হচ্ছিলো। হঠাৎ করে ঝড় এবং বজ্র আঘাত না করলে কোনোভাবেই এতো বড় দুর্ঘটনা ঘটতো না বলে মনে করেন ওই প্রকৌশলী।
আল-কায়েদার শীর্ষ নেতা, নিহত ওসামা বিন লাদেন পরিবার বিন লাদেন গ্রুপ পরিচালনা করে। ঘটনাক্রমে নাইন-ইলেভেন বার্ষিকীর দিনই মক্কায় ওই দুর্ঘটনা ঘটে।
সতর্কবাণীঃ
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।
No comments:
Post a Comment