ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামীর পক্ষে যুক্তি উপস্থানের জন্য আগামী ৩০ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ।
বুধবার দুপুরে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ ষষ্ঠ দিনের মতো শুনানি শেষে এই আদেশ দেন। বেঞ্চের অন্য তিন সদস্য হলেন- বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
বুধবার আদালতে নিজামীর পক্ষে পেপারবুক পাঠ শেষ করেন তার আইনজীবী এস এম শাহজাহান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মমতাজ উদ্দিন ফকির।
পরে মমতাজ উদ্দিন ফকির জানান, আগামী ৩০ নভেম্বর, ১ ডিসেম্বর ও ২ ডিসেম্বর এই তিন দিন নিজামীর পক্ষে যুক্তি উপস্থাপনের জন্য দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। আর ৭ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ যুক্তি উপস্থাপন করবে। এ ছাড়া ৮ ডিসেম্বর পাল্টা যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য দিন ধার্য করেছেন আদালত।
এর আগে গত ১৭, ১৮, ২৩ ও ২৪ নভেম্বর নিজামীর আপিল শুনানিতে পেপারবুক থেকে পাঠ করে আজ শেষ করেন তার আইনজীবী এস এম শাহজাহান।
চলতি বছরের গত ৯ সেপ্টেম্বর নিজামীর আপিল শুনানি শুরু হয়। প্রথম দিনে আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ট্রাইব্যুনালের রায়ের অংশ পাঠ করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। পরে নিজামীর পক্ষে ১ নম্বর অভিযোগের তিনজন সাক্ষীর জবানবন্দি আদালতে পড়ে শোনান অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড জয়নুল আবেদীন তুহিন।
২০১৪ সালের ২৯ অক্টোবর বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ মতিউর রহমান নিজামীকে ফাঁসির দণ্ড দেন।
রায়ে ১৬টি অভিযোগের মধ্যে আটটি অভিযোগ প্রমাণিত হয়। এর মধ্যে ২, ৪, ৬ ও ১৬ নম্বর অভিযোগে বুদ্ধিজীবী গণহত্যা, হত্যা, ধর্ষণ, লুণ্ঠন, সম্পত্তি ধ্বংস, দেশত্যাগে বাধ্য করার অপরাধে রায়ে নিজামীকে ফাঁসির দণ্ড দেওয়া হয়।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর দেওয়া এ রায়ের বিরুদ্ধে একই বছরের ২৩ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেন জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামী। ৬ হাজার ২৫২ পৃষ্ঠার আপিলে ফাঁসির আদেশ বাতিল করে খালাস চেয়েছেন নিজামী। মোট ১৬৮টি কারণ দেখিয়ে এ আপিল করা হয়।
সতর্কবাণীঃ
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।
No comments:
Post a Comment