জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষার ফল প্রকাশ করতে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন গত বছরের তুলনায় এবারের পরীক্ষায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। বিশেষ করে পরীক্ষার্থী সংখ্যা, পাসের হার, জিপিএ-৫ এর হার বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে জেডিসিতে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে ১০ হাজারেরও বেশি। কেন এ সংখ্যা কমলো তা খতিয়ে দেখা হবে।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে জেএসসি-জেডিসির ফল প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন তিনি এসব তথ্য জানান।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, ৮টি সাধারণ বোর্ডে ১৯ লাখ ২৯ হাজার ৯৯জন পরীক্ষাথী অংশ নেয়। যা গত বছর ছিল ১৭ লাখ ২৯ হাজার ৯৩১ জন। পরীক্ষার্থী বেড়েছে ১ লাখ ৯৯ হাজার ১৬৮জন।
জেএসসি পরীক্ষায় ১৭ লাখ ৮০ হাজার ৭৭০ জন পাস করেছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন,‘গত বছরের তুলনায় এবার এ সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ২ লাখ ২৬ হাজার ৩৪৩। এতে শতকরা পাসের হার দাঁড়ায় ৯২ দশমিক ৩১ শতাংশ। গত বছর ছিল ৮৯ দশমিক ৮৫ শতাংশ। বেড়েছে ২ দশমিক ৪৬।’
তিনি বলেন, ‘এ পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৮৭ হাজার ৫০২ জন। গত বছরের চেয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে ৫০ হাজার ৫৫৭জন।’
মন্ত্রী জানান, এবারের জেএসিসি-জেডিসি ছাত্র ছিল ১০ লাখ ৬০ হাজার ৭৯৬ জন। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ৯ লাখ ৭৮ হাজার ৪৪৯ জন। পাসের হার ৯৩ দশমিক ২৪। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮৪ হাজার ৯৬০। ছাত্রী ছিল ১২ লাখ ১১ হাজার ৪৯৩ জন। উত্তীর্ণ হয়েছে ১১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৩ জন। পাসের হার ৯২ দশমিক ৪২। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ১১ হাজার ৩০৩জন।
প্রতিবছরের মতো এবারও বিদেশি কেন্দ্রে পরীক্ষায় বসেছিল জিএসসি শিক্ষার্থীরা। মন্ত্রী জানান, বিদেশি কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৫৫৮ জন। পাস করেছে ৫৪৮জন। পাসের ৯৮ দশমিক ২১। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১১১জন। কেন্দ্র ছিল মোট ৮টি।
এদিকে জেডিসির ফলাফল সম্পর্কে শিক্ষামন্ত্রী জানান, এ পরীক্ষায় ৩ লাখ ১৭ হাজার ৩১২জন পাস করেছে। গত বছরের চেয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে ২৬ হাজার ৭ জন। পাসের হার ৯২ দশমিক ৪৬। গত বছর এ হার ছিল ৯৩ দশমিক ৫০। কমেছে ১ দশমিক ০৪। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮ হাজার ৭৬১। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ১৯ হাজার ২৯০। জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যা কমেছে ১০ হাজার ৫২৯জন। এ পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ৪৩ হাজার ১৯০ জন। গত বছর ছিল ৩ লাখ ১১ হাজার ৫৪০জন। বৃদ্ধি পেয়েছে ৩১ হাজার ৬৫০ জন।
মাদরাসায় জিপিএ-৫ কমে যাওয়ার কারণ কি?- সাংবাদিকদের এ পশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা এখনো বিষয়টি বিশ্লেষণ করিনি। বিশ্লেষণ করে কোনো অংশে ত্রুটি থাকলে তা সমাধান করা হবে।’
প্রেস ব্রিফিংয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষায় পাসের হার বেড়েছে ১ দশমিক ৯২। মোট পরীক্ষার্থী সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি অনুত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীর হারও কমেছে। শূন্য পাস করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাও কমেছে। পুরো শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য এ তথ্যগুলো খুবই ইতিবাচক।’
সবশেষে তিনি বলেন, ‘আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ায় দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। গত বছরের মতো এবারও সম্পূর্ণ পেপারলেস ফল প্রকাশ করেছি। বোর্ড কর্তৃক সরবরাহকৃত প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব ই-মেইল ঠিকানায় নির্ধারিত সময়ে ফল পৌঁছে যাবে। প্রতিষ্ঠানসমূহ প্রয়োজনে ফল ডাউনলোড করে প্রিন্ট করতে পারবে।
সতর্কবাণীঃ এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া
নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।
No comments:
Post a Comment