বৃষ্টির সঙ্গে মাঝে মধ্যে আকাশ থেকে শিলা পরে। সাধারণত ঝড়ো আর সংকটপূর্ণ আবহাওয়াতে যখন শক্তিশালী বায়ুপ্রবাহ উপরের দিকে উঠতে থাকে, তখন শিলা তৈরি হয়। শিলা বৃষ্টির আগে উষ্ণ বায়ু উপরের দিকে উঠতে থাকে, আর শীতল বায়ু নিচের দিকে নামতে থাকে। তখন সেখানে পর্যাপ্ত পরিমাণ
খুব শীতল পানির উৎস পাওয়া যায়। মেঘে বরফ জমতে থাকে ঐ শীতল পানির দানা আর শীতল বায়ুর সংমিশ্রণে ।
উর্ধ্বমুখী বায়ু এমন একটা অবস্থানে পৌছায়
যেখানে তাপমাত্রা শূন্যের নিচে চলে যায়, অর্থাৎ যেখানে পানি বরফ হতে শুরু
করে। এক পর্যায়ে ঊর্ধ্বমুখী বায়ুতে সৃষ্ট বরফ খণ্ডগুলো ঐ বায়ুর প্রবাহ থেকে
ছুটে গিয়ে নিচের দিকে পড়তে থাকে। এই ঊর্ধ্বমুখী বায়ুর উপরে উঠে যাওয়ার পরে
বরফ কণা সৃষ্টি হয়ে নিম্নগামী হওয়ার প্রক্রিয়া পুনঃ পুনঃ চলতে থাকে এবং
বরফ কণার উপর বার বার আস্তরণ জমা হয়ে তা বরফ খণ্ডের আকার নেয়।
এই ঊর্ধ্বমুখী বাতাসের কিন্তু বেশ ভালোই গতি থাকতে হয়, কিছু কিছু ক্ষেত্রে এই গতি ৬০ মাইল/ঘণ্টাও হতে পারে।
মজার ব্যাপার হল, আমরা যদি একটা শিলা
খন্ডকে অর্ধেক করে কেটে নিতে পারি, তাহলে এর ভেতরকার কেন্দ্রিভূত স্তরগুলো
আমাদের কাছে দৃশ্যমান হয়ে উঠবে । যখন শিলা ঊর্ধ্বাকাশ থেকে পতিত হতে থাকে,
তখন এটি পতনশীল অবস্থায় কিছুটা গলে যায়, আর এমন তাপমাত্রায় এটা গলে যার
কারণে এটা আবার ঊর্ধ্বমুখী বায়ুর সাথে উপরে উঠে যায়। সুতরাং ,এর থেকেই বোঝা
যায় যে খুব বড় আকারের শিলাখন্ড আসলে অনেক বারের পুনঃ প্রক্রিয়ার ফসল।
এই শিলাখন্ড গুলো বৃষ্টির পানির কণা বা
মেঘ কে আশ্রয় করে এবং যখন এগুলো ক্রমশ ভারি হয়ে উঠে এবং ঊর্ধ্বগামী বায়ু আর
এতটা ভারি কণা বহন করতে পারে না,তখন শিলাখন্ড বৃষ্টির সাথে ভূমিতে পতিত
হতে থাকে। যাকে আমরা শিলাবৃষ্টি হিসেবে দেখতে পাই।
সতর্কবাণীঃ এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া
নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।
No comments:
Post a Comment