বহুমুখি মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভারের তেজগাঁও-সাতরাস্তা থেকে হলি ফ্যামিলি পর্যন্ত দুই কিলোমিটার অংশ যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে। বুধবার অফিসার্স ক্লাবের অনুষ্ঠানে ফ্লাইওভারের এ অংশের উদ্বোধন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
চার লেনের এ ফ্লাইওভারের বাংলামোটর থেকে
মৌচাক হয়ে রাজারবাগ পুলিশ লাইনস, রামপুরা থেকে মৌচাক-মালিবাগ হয়ে শান্তিনগর
অংশের নির্মাণ কাজ শেষ হবে ২০১৭ সালের জুনের মধ্যে।
উদ্বোধনের পর পরই ফ্লাইওভারের এ অংশ যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়। এ অংশ উদ্বোধনের সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গী ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, ঢাকা উত্তর-দক্ষিণের দুই মেয়র আনিসুল হক ও সাঈদ খোকন, এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা, মন্ত্রণালয়ের সচিব, এলজিইডি প্রধান প্রকৌশলি ও প্রকল্প পরিচালক।
উদ্বোধনের পর পরই ফ্লাইওভারের এ অংশ যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়। এ অংশ উদ্বোধনের সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গী ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, ঢাকা উত্তর-দক্ষিণের দুই মেয়র আনিসুল হক ও সাঈদ খোকন, এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা, মন্ত্রণালয়ের সচিব, এলজিইডি প্রধান প্রকৌশলি ও প্রকল্প পরিচালক।
ফ্লাইওভারের আশপাশে উপস্থিত উৎসুক জনতা এসময়
প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানায়। উদ্বোধনের আগে ফ্লাইওভারটি ব্যানার ফেন্টুন
দিয়ে বর্ণিল সাজে সাজানো হয়।
নির্মাণ কর্তৃপক্ষ সূত্র মতে, দ্বিতীয় ধাপে আগামী ডিসেম্বরে ফ্লাইওভারের বাংলামোটর থেকে মগবাজার-মৌচাক হয়ে রাজারবাগ পুলিশ লাইনস অংশ যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। তৃতীয় ও শেষ ধাপে খুলে দেয়া হবে রামপুরা রোড থেকে মৌচাক-মালিবাগ হয়ে শান্তিনগর অংশ।
নির্মাণ কর্তৃপক্ষ সূত্র মতে, দ্বিতীয় ধাপে আগামী ডিসেম্বরে ফ্লাইওভারের বাংলামোটর থেকে মগবাজার-মৌচাক হয়ে রাজারবাগ পুলিশ লাইনস অংশ যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। তৃতীয় ও শেষ ধাপে খুলে দেয়া হবে রামপুরা রোড থেকে মৌচাক-মালিবাগ হয়ে শান্তিনগর অংশ।
মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভারের দৈর্ঘ্য ৮ দশমিক
২৫ কিলোমিটার। বিভিন্ন অংশে ফ্লাইওভারে উঠানামার জন্য তেজগাঁওয়ের
সাতরাস্তা, সোনারগাঁও হোটেল, মগবাজার, রমনা (হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল সংলগ্ন
রাস্তা), বাংলামোটর, মালিবাগ, রাজারবাগ পুলিশ লাইনস ও শান্তিনগর মোড়ে
র্যাম্প রাখা হয়েছে।
ভারতের সিমপ্লেক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড
ও নাভানার যৌথ উদ্যোগের প্রতিষ্ঠান ‘সিমপ্লেক্স নাভানা জেভি’ এবং চীনা
প্রতিষ্ঠান দ্য নাম্বার ফোর মেটালার্জিক্যাল কনস্ট্রাকশন ওভারসিজ কোম্পানি
(এমসিসিসি) ও তমা কনস্ট্রাকশন লিমিটেড উড়াল সড়কটির নির্মাণ কাজ করছে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের
তত্ত্বাবধানে ২০১৩ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি নির্মাণকাজ শুরু করা এই ফ্লাইওভার
দুই বছরের মধ্যে অর্থাৎ ২০১৫ সালের মধ্যে শেষ করার কথা ছিল। ব্যয় ধরা
হয়েছিল ৭৭২ কোটি ৭০ লাখ টাকা। তবে ঠিকাদার ও তত্ত্বাবধায়ক প্রতিষ্ঠানের
ব্যর্থতার কারণে তিন দফায় সময় বাড়ানো হয়েছে প্রকল্পের। তৃতীয় দফা সময়
বাড়িয়ে বলা হচ্ছে আগামী ২০১৭ সালের জুনের মধ্যে পুরো প্রকল্পের কাজ শেষ
হবে। মেয়াদ বাড়ার পাশাপাশি মেগা এ প্রকল্পের ব্যয়ও প্রায় ৫৮ শতাংশ বাড়িয়ে
করা হয়েছে এক হাজার ২১৯ কোটি টাকা।
সৌদি ফান্ড ফর ডেভেলপমেন্ট (এসএফডি) এবং
ওপেক ফান্ড ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ওএফআইডি) এই প্রকল্পে ঋণ
দিচ্ছে। সংস্থা দুটির ৫৭২ কোটি টাকা ঋণ দেয়ার কথা থাকলেও এখন তা বাড়িয়ে ৭৭৬
কোটি টাকা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে সরকারের নিজস্ব অর্থায়নের পরিমাণ ২০০ কোটি ৪৭ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪৪২ কোটি ৭৩ লাখ টাকার প্রস্তাব করা হয়েছে।
ঢাকার যানজট নিরসনে ১৯৯৯ সালের ঢাকা
ট্রান্সপোর্ট কো-অর্ডিনেশন বোর্ডের (ডিটিসিবি) সমীক্ষা অনুযায়ী ২০টি
পয়েন্টে ফ্লাইওভার/আন্ডারপাস, বাস বে, বাস টার্মিনাল, পার্কিং এরিয়া
নির্মাণের প্রস্তাব করা হয়েছিল। তারই অংশ হিসেবে মহাখালী ও খিলগাঁও
ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হয়। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে
বাস্তবায়নাধীন মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভার প্রকল্প ২০১১ সালে অনুমোদন পায়।
সতর্কবাণীঃ এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।
No comments:
Post a Comment