রোববার বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম ভিন্ন স্বাদ পেল। কোনো দলের অধিনায়ক যে তার দলের ক্রিকেটারদের জন্যে কাঁদতে পারেন তা প্রথমবারের মত দেখল চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম।
ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে সচরাচর ম্যাচ নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। কিন্তু রোববারের সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফিকে প্রশ্ন করা হল শুধুই তাসকিন ও আরাফাত সানীকে নিয়ে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে প্রশ্ন করা হলেও তা আড়ালে পড়ে গেছে।
আইসিসি তাসকিনের বোলিং অ্যাকশন অবৈধ ঘোষণা করে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। কিন্তু যে ম্যাচে তাসকিনের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করা হয় পরীক্ষায় সে ম্যাচের একটিও অবৈধ প্রমাণিত হয়নি।
চেন্নাইয়ের রামাচন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাগারে তাসকিনকে ৩ মিনিটে ৯টি বাউন্সার করতে বলা হয়। অথচ নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ম্যাচে তাসকিন একটিও বাউন্সার দেননি। তাহলে কেন পরীক্ষায় তাসকিনকে বাউন্সার দিতে বলা হয়? মাশরাফির প্রথম প্রশ্ন সেটাই?
দ্বিতীয়ত, তাসকিনের ফুল লেন্থ ডেলিভারিতে কোন সমস্যা দেখা যায়নি। বাউন্সার দেওয়া ছাড়া তো অনেকেই খেলছে। তাহলে তাসকিন নয় কেন?
তৃতীয়ত, যে ম্যাচের উপর ভিত্তি করে তাসকিনকে সন্দেহ প্রকাশ করা হয় সে ম্যাচের ওই নির্দিষ্ট বলগুলো একটিও অবৈধ হয়নি। তাহলে তো পরীক্ষা শেষ হওয়ার কথা। তাসকিনকে কেন বাউন্স বল করতে বলা হল?
রোববার সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন সময়ে মাশরাফি প্রশ্নগুলো তুলেছেন। কিন্তু এর উত্তর কি কেউ দিতে পারবে? বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) আইসিসির কাছে তাসকিনের পরীক্ষার ফল নিয়ে আপিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু মাশরাফির প্রশ্নগুলোর উত্তর কি আইসিসি দিতে পারবে?
সতর্কবাণীঃ এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।
No comments:
Post a Comment