জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে ১৬ হাজার ৮৮৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৬টি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। যার মধ্যে বিদ্যুতায়নকে গুরুত্ব দিয়ে বেশ কয়েকটি প্রকল্পের অনুমোদনও দেয়া হয়।
মঙ্গলবার রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে এনইসি
সম্মেলন কক্ষে একনেক চেয়ারপারসন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে
নিয়মিত বৈঠকে এসব প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়।
বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘আজকে যে প্রকল্পগুলোর অনুমোদন
দেয়া হয়েছে তার সবকটিই গুরুত্বপূর্ণ। প্রকল্পগুলোর মধ্যে ১৪টি নতুন এবং
দুটি সংশোধিত প্রকল্প আছে। যেগুলো বাস্তবায়নে সরকারি অর্থায়নে ১৪ হাজার ৪১
কোটি ২৭ লাখ টাকা, সংস্থার নিজস্ব তহাবিল থেকে ৫৯৬ কোটি ২৭ লাখ এবং প্রকল্প
সাহায্য থেকে ২ হাজার ২৫০ কোটি ২৭ লাখ টাকা ব্যয় হবে।’
অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে আছে : ‘পল্লী বিদ্যুতায়ন সম্প্রসারণের মাধ্যমে ১৫ লাখ গ্রাহক সংযোগ’ প্রকল্প। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ৬ হাজার ৯১৫ কোটি ৪১ লাখ টাকা।
‘ঘোড়াশাল চতুর্থ ইউনিট রি-পাওয়ারিং প্রকল্প’ এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ২৯ কোটি ২৪ লাখ টাকা।
৭৪৬ কোটি ২৬ লাখ টাকা ব্যয়ে
বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর ৭০০ মেগাওয়াট আল্ট্রাসুপার ক্রিটিক্যাল কয়লা ভিত্তিক
বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভূমি অধিগ্রহণ ও সুরক্ষা এবং ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি’
প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
ছাতক সিমেন্ট কোম্পানি লিমিডেটের উৎপাদন
পদ্ধতি ওয়েট প্রসেস থেকে ড্রাই প্রসেস এ রূপান্তরকরণ প্রকল্প। প্রকল্পটি
বাস্তবায়নে ৬৬৬ কোটি ৮২ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে।
ইজিসিবি লিমিটেডের আওতায় কক্সবাজার জেলার
পেকুয়ার ২,৬০০ মেগাওয়াট আল্ট্রাসুপার ক্রিটিক্যাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ
কেন্দ্রের ভুমি অধিগ্রহণ, পুনর্বাসন, ইআইএ এবং সম্ভাব্যতা যাছাই’ প্রকল্প।
প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৫১৫ কোটি ৮৫ লাখ টাকা।
খুলনা কয়লাভিত্তিক বিদ্যুতকেন্দ্র সংযোগ সড়ক নির্মাণ প্রকল্প। প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে ১৮৫ কোটি ৮০ লাখ টাকা।
৪৫ কোটি ২৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘জাতীয় বেতার ভবনে আধুনিক ও ডিজিটাল সম্প্রচার যন্ত্রপাতি স্থাপন’ প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
৩৮৪ কোটি ১২ লাখ টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশের গ্রামীণ সরবরাহ ও স্যানিটেশন প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
জামালপুর শহরের নগর স্থাপত্যের পুনঃসংস্কার ও
সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উন্নয়ন প্রকল্প এ প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা
হয়েছে ১২৬ কোটি ৫৯ লাখ টাকা।
২৭৩ কোটি ৯৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ঢাকার ইস্কাটনে
সিনিয়র সচিব, সচিব ও গ্রেড-১ কর্মকর্তাদের জন্য আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ
প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলোর
নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার লক্ষ্যে জরুরি সরঞ্জামাদি সরবরাহ ও
সংস্থাপন প্রকল্প। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৮৯ কোটি ৫৬ লাখ
টাকা।
নয়টি পুলিশ সুপার অফিস ভবন নির্মাণ (সিআইডি ও পিবিআই অফিসসহ) প্রকল্প’ এ প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৪ কোটি ৭৪ লাখ টাকা।
‘সিলেট বিভাগ গ্রামীণ অ্যাকসেস সড়ক উন্নয়ন’ প্রকল্প। এতে ব্যয় করা হবে ২৮৭ কোটি ৪ লাখ টাকা।
৩ হাজার ৬৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘প্রাথমিক শিক্ষার জন্য উপবৃত্তি প্রদান- তৃতীয় পর্যায় প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
হাইটেক পার্ক, সিলেট (সিলেট ইলক্ট্রনিকস
সিটি)-এর প্রাথমিক অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্প। এতে ব্যয় করা হবে ১৮৭ কোটি ১৩
লাখ টাকা এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়ন’
প্রকল্প। এতে ব্যয় করা হবে ১ হাজার ২৯২ কোটি ৬১ লাখ টাকা।
সতর্কবাণীঃ এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া
নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।
No comments:
Post a Comment