নিজস্ব প্রতিবেদক,মাদারীপুর: মাদারীপুর সরকারি নাজিমউদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের শিক্ষক রিপন চক্রবর্তীকে (৫০) আজ বুধবার বিকালে দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে জখম করেছে। এ ঘটনায় প্রিন্স ফাইজুল্লাহ নামে এক কলেজ ছাত্রকে আটক করেছে পুলিশ।
কলেজ, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সরকারী নাজিম উদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের গণিত বিভাগের শিক্ষক রিপন চক্রবর্তী কলেজের পেছনে সেবাবাহান মুন্সির বাড়িতে ভাড়া থাকেন। আজ বুধবার বিকেল সোয়া ৫টার দিকে ওই বাড়িতে তিনজন অজ্ঞাতনামা লোক এসে দরোজায় নক করে। দরোজা খোলার পরই তার ওপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে ৩ সন্ত্রাসী এলোপাতাড়ি তাকে কোপাতে থাকে। এ সময় তার মাথার পিছনে-সামনে ও হাতে কোপ লাগে। শিক্ষকের চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা দৌড়ে পালিয়ে যায়। তবে স্থানীয়রা একজনকে ধাওয়া করে আটক করে। পরে স্থানীয়রা ওই সন্ত্রাসীকে পুলিশে দেয়। এ সময় স্থানীয়রা ওই শিক্ষককে উদ্ধার করে প্রথমে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরে বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে সরকারি নাজিমউদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ হিতেন চন্দ্র মন্ডল বলেন, ওই শিক্ষকের অবস্থা গুরুতর। এই ঘটনায় এক যুবককে আটক করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, তার পকেটে রেটিনা কম্পানির চাবি পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এরা জঙ্গি সংগঠনের সদস্য।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আটক কলেজছাত্র জানান, তার নাম প্রিন্স ফাইজুল্লাহ । তার পিতা গোলাম ফায়জুল্লাহ একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। বাড়ি চাপাইনবাবগঞ্জ। সে ঢাকার উত্তরা স্কুল এন্ড কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। সে ঢাকার উত্তরায় বাবা-মার সঙ্গে থাকে। সে তার এক বন্ধুর সাথে বেড়াতে মাদারীপুরে এসেছে।
এ সময় মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার উত্তম কুমার পাল, এএসপি মনির’জ্জামান ফকির, ওসি জিয়াউল মোর্শেদ উপস্থিত ছিলেন। তবে সাংবাদিকদের তৎক্ষণাত কিছু বলতে রাজি হননি তারা।
সতর্কবাণীঃ এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।
No comments:
Post a Comment