শরীয়তপুর শহরসহ ৬টি উপজেলা দীর্ঘ ৩২ ঘন্টা যাবত বিদ্যুৎ না থাকার কারণে সারা জেলাই অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে। বিদ্যুৎ না থাকার কারণে দোকানপাট, বাসা বাড়িতে মোবাইল ফোনে চার্জ দিতে পারছে না কেউ। ফ্রিজে রাখা জিনিসপত্র পঁচে বিনষ্ট হয়ে গেছে।
বিদ্যুৎ বিভাগ জানিয়েছে, ঝড়ে মাদারীপুর শরীয়তপুর মেইন লাইনে তারের উপর গাছ পড়ে তার ছিঁড়ে যাওয়ায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট হয়েছে। মেরামতের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।
রবিবার সারাদিন ছিল একটানা প্রবল বর্ষণ। আকাশ ছিল মেঘাচ্ছন্ন। প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে এ ধরনের বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারনে শিশুদের লেখাপড়ার দারুণভাবে বিঘ্ন ঘটছে।
শরীয়তপুর শহরের বাসিন্দা আঃ রহমান খান বলেন, ২ দিন যাবত শরীয়তপুর শহরে বিদ্যুৎ নেই। এতে করে আমাদের বাসাবাড়ি ব্যবসা বাণিজ্য সবই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সারা শহর অন্ধকার হয়ে পড়েছে।
পালং ইউনিয়নের চাদসার গ্রামের আবুল বাশার বলেন, সামান্য একটু ঝড় বৃষ্টি হলেই শরীয়তপুরে বিদ্যুৎ থাকে না। গত ২ দিন যাবত বিদ্যুৎ নেই। বিদ্যুৎ অফিসে ফোন করলে কেউ ফোন রিসিফ করে না। আমরা খুবই কষ্টে আছি।
ভোজেশ্বর এলাকার সামচেল হক মেলকার বলেন, শরীয়তপুরের পল্লীবিদ্যুৎ এমনিতেই ২৪ ঘন্টায় ১৮ ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকে না। তার পর ঝড় বৃষ্টি হয়েছে। গত ৩২ ঘন্টা যাবত কোন জায়গায় বিদ্যুৎ নেই। বাসা বাড়ির ফ্রিজ নিয়ে খুবই ঝামেলায় আছি।
শরীয়তপুর শহরের ওজোপাডিকো বিদ্যুৎ বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী মোঃ সাখাওয়াত হোসেন বলেন, মাদারীপুর-শরীয়তপুর মেইন লাইনে ঝড়ে গাছ পড়ে। তাতে তার ছিঁড়ে লাইন বন্ধ হয়ে গেছে। আমরা ২দিন যাবত লাইন মেরামত করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। যেকোনো সময় লাইন ঠিক হয়ে গেলে শহর সহ সর্বত্র বিদ্যুৎ লাইনে সংযোগ দিতে পারব।
সতর্কবাণীঃ এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।
No comments:
Post a Comment