এখন ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করে থাকেন অনেকে। তবে অনেকেই জানেন না ভিডিওগুলো সহজে কিভাবে বেশি মানুষের কাছে পৌঁছানো যায়। সাবস্ক্রাইবার বাড়ানোও ইউটিউবের জন্য অনেক কষ্টের। নিচের তথ্যগুলো আপনাকে সে কষ্ট থেকে কিছুটা হলেও উদ্ধার করবে।
১. নিয়মিত ভিডিও আপলোড করুন এবং এটা একটা নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করে করুন। যদি আপনার ভিউয়ারগণ প্রতি বুধবার আপনার চ্যানেলে নতুন ভিডিও পায় তাহলে তারা প্রতি বুধবারেই ভিডিও’র প্রত্যাশায় আসবে। আর তাছাড়া নিয়মিত ভিডিও দেওয়ার আরেকটা কারণ হচ্ছে আপনি যতবার নতুন ভিডিও দেবেন ততবারই আপনার সাবস্ক্রাইভার নোটিফিকেশন পাবে।
২. আপনার আপলোড করা প্রতিটা ভিডিও ফেইসবুকে পোস্ট করুন (লিঙ্ক শেয়ার নয় বরং এম্বেড করুন)। কারণ হচ্ছে খুব কম মানুষ ফেইসবুক থেকে বাইরে গিয়ে আপনার ভিডিও দেখবে। এতে সে ফেইসবুকেই থাকলো আর আপনার ভিউও হয়ে গেল।
৩. আপনার ভিডিও টাইটেল ৫০ বর্ণের মধ্যে রাখুন। যদি বড় করেন তাহলে আপনার ভিডিও টাইটেল কিছুটা কাঁটা পড়বে। এক্ষেত্রে ভিউয়ারও সঠিকভাবে না বুঝতে পারে এবং সার্চ রেজাল্টেও এর প্রভাব পড়বে।
৪. আপনার ব্লগে ভিডিওগুলো এম্বেড করুন। এতে করে আপনার ভিডিও ভিউ বাড়ার পাশাপাশি আপনার ব্লগের পাঠক বাড়বে।
৫. আপনার সাধারণ ভিডিওগুলোকে ছোট রাখুন। ২/৩ মিনিটের মধ্যে রাখুন। ভিউয়ার বড় ভিডিও দেখতে উৎসাহী হয় না।
৬. ভিডিও এর জন্য কোনো কিওয়ার্ড বাছাই করার আগে একটা গুগল সার্চ করে নিন ওই কিওয়ার্ড দিয়ে। যদি দেখেন রেজাল্টের প্রথমেই একটা ভিডিও আছে তাহলে বুঝবেন আপনার ভিডিও গুগল রেঙ্কে প্রথমে আসার চান্স আছে।
৭. টপিক হিসেবে আপনার ভিডিওগুলোকে প্লেলিস্ট করে নিন। আর প্লেলিস্টের নামকরণেও আপনার ভিডিওগুলোর নির্ধারিত কিওয়ার্ড ব্যাবহার করুন। এটা প্লেলিস্ট গুগল রেঙ্কে সাহায্য করবে।
৮. আপনার সকল ভিডিওতে একটা ইন্ট্রো দিন। এটা আপনার চ্যানেলের অথোরিটি অর্জনের ক্ষেত্রে সাহায্য করবে এবং চ্যানেলের সাবস্ক্রাইভার বাড়িয়ে দিবে।
৯. অবশ্যই আপনার সকল ভিডিওতে কিওয়ার্ড রিলেভেন্ট করে টাইটেল এবং ডেসক্রিপশন দিন।
১০. যখন আপনার ভিডিও আপনার ব্লগে বা কোন সাইটে এম্বেড করেন তখন আপনার ভিডিওর লিঙ্কটাও শেয়ার করে দিন। এটা আপনার চ্যানেলে সরাসরি লিঙ্কিং করবে এবং ভিউয়ার আপনার চ্যানেলের অন্য ভিডিও দেখার জন্য আগ্রহী হবে।
১১. আপনার এবং আপনার চ্যানেলের পরিচিতি প্রদান করে একটা মনোমুগ্ধকর চ্যানেল ট্রেইলার তৈরি করুন যা কেউ আপনার চ্যানেলের হোমে আসলে অটো-প্লে হবে। আপনাকে অথোরিটি দিতে এটি অনেক বড় ভূমিকা পালন করে।
১২. ভিডিও’র শেষে একটা বড় এনোটেশনে শক্ত কল-টু-একশন প্রদান করুন।
১৩. ট্রেন্ডিং ভিডিও কন্টেন্ট তৈরি করার পাশাপাশি কিছু ভিডিও কন্টেন্ট তৈরি করুন যেগুলো কখনো পুরনো হবে না। ট্রেন্ডিং ভিডিও দ্রুত কিছু কিছু ভিউ পাওয়ার জন্য কাজ করে, কিন্তু আপনার চ্যানেলকে স্মরণযোগ্যও রাখতে হবে। এতে আপনার চ্যানেলের আয় হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়ার কোন চান্স নেই। আর এটা গুগল রেঙ্কিংয়েও সহায়তা করে।
১৪. আপনার ব্লগেও সাবস্ক্রাইব বাটন দিন। সেটা এম্বেডেড ভিডিও এর পাশে হলে আরও ভালো হয়।
১৫. কিছু ক্ষেত্রে মানুষ শুধুমাত্র লং-টেইল কিওয়ার্ড দিয়েই সার্চ করে থাকে। তাই এধরনের কিছু নিয়ে ভিডিও বানালে লং-টেইল ডেসক্রিপশন ব্যাবহার করবেন। এতে এমন কিছু ভিউ পাবেন যারা এই ব্যাপারে ব্যাপক আগ্রহী।
১৬. আপনার সাইটে বা ব্লগে একটা ইউটিউব উইজেড ব্যাবহার করতে পারেন। Tint এধরনের কাজের জন্য অনেক ভালো একটা টুল।
১৭. আপনার ভিউয়ারদের লাইক করতে বলুন। কারণ ভিডিওতে লাইক ইউটিউবকে ইনফর্ম করে যে আপনার ভিডিও পপুলার, তখন ইউটিউব সার্চ এ এটি প্রাধান্য পায়।
১৮. আপনার ভিডিওতে দেওয়া কমেন্ট সবসময় চেক করুন এবং উত্তর দিন। এতে যেমন আপনার ভিউয়ার সাবস্ক্রাইবাররা বুঝবে আপনি তাদের প্রতি আন্তরিক তেমনি ইউটিউবও বুঝবে আপনি আপনার ভিউয়ারদের প্রাধান্য দেন।
১৯. অন্য ইউটিউবার এর সাথে কাজ করে দুজনেই দুজনের চ্যানেল প্রমোট করুন। আবার দুইজন একসাথে কিছু কো-ব্রেন্ডেড ভিডিও তৈরি করুন।
২০. Creator Dashbaord এবং Analytics থেকে সবচেয়ে একটিভ ফানজ খুজে বের করুন এবং তার সাথে যোগাযোগ স্থাপন করুন। তাদেরকে তাদের কমিনিটিতে ভিডিও শেয়ার করতে বলুন।
ব্যাস! এভাবে আপনি ইউটিউবের ভিডিওগুলোকে খুব সহজে পপুলার করে তুলতে পারেন।
সূত্র: বিস্ময় ডটকম ।
সতর্কবাণীঃ এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।
No comments:
Post a Comment