সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে মাদারীপুরের চারটি উপজেলার ৩০ গ্রামের প্রায় ৫০ হাজার সুরেশ্বরী মুরিদরা মঙ্গলবার ঈদুল আযহা উদযাপন করছে। জেলার বেশ কয়েকটি স্থানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হলেও প্রধান ও বড় জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে মাদারীপুর সদর উপজেলার তাল্লুক গ্রামের চরকালিকাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে।
সকাল ৯টায় এ জামাত পড়ান ইমাম আব্দুল হাশেম ফকির। জামাত শেষে দেশের জনগণের জন্য দোয়া এবং একে অপরে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করেন। এবং আল্লাহকে খুশি করার জন্য কোরবানির নিয়ম অনুযায়ী যে যার মতো করে এক এক করে পশু কোরবানি দেন।
মুরিদরা জানায়, ইসলাম ধর্মের সবকিছুই মক্কা শরিফ হয়ে বাংলাদেশে এসেছে। সুরেশ্বর দরবার শরিফের প্রতিষ্ঠাতা শাহ্ সুরেশ্বরী (র.) এর অনুসারীরা ১৪৬ বৎসর পূর্ব থেকে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা রাখেন এবং ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা উদযাপন করে আসছেন। তাই সুরেশ্বর দরবার শরিফের মুরিদরা একদিন আগে ঈদ উৎযাপন করেন। সেই হিসেবে মাদারীপুর সদর উপজেলার পাঁচ খোলা ইউনিয়নের চরকালিকাপুর, মহিষেরচর, পূর্ব পাঁচখোলা, জাজিরা, কাতলা, তাল্লুক, খোয়াজপুর ইউনিয়নের চরগোবিন্দপুর, পখিরা, খোয়াজপুর, কুনিয়া ইউনিয়নের দৌলতপুর, কালিকাপুর ইউনিয়নের কালিকাপুর, হোসনাবাদ, ছিলারচর ইউনিয়নের রগুনাথপুর, আংগুলকাটা, হাজামবাড়ী, সাহেবরামপুর ইউনিয়নের আন্ডারচর, কয়ারিয়া, বাহেরচর, কেরানীরবাটসহ ৩০ গ্রামের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ মঙ্গলবার ঈদুল আযহা উৎযাপন করছে।
ইমাম আব্দুল হাশেম ফকির বলেন, সুরেশ্বর দরবার শরিফের প্রতিষ্ঠাতা শাহ্ সুরেশ্বরী (র.) এর অনুসারীরা ১৪৬ বৎসর পূর্ব থেকে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা রাখেন এবং ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা উদযাপন করে আসছেন।
সতর্কবাণীঃ এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।
No comments:
Post a Comment