প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক ও অভিনেতা আমজাদ হোসেন আর নেই। ব্যাংককের একটি হাসপাতালে বাংলাদেশ সময় শুক্রবার বেলা সাড়ে ৩টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার (ইন্নালিল্লাহি... রাজিউন.)। সংবাদ প্রতিদিন২৪ অনলাইন ডটকমকে এ বিষয়ে নিশ্চিত করেন চলচ্চিত্র নির্মাতা এসএ হক অলিক। কিংবদন্তি এই নির্মাতার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন তার বড় ছেলে সাজ্জাদ হোসেন দোদুল। তিনি এখন ব্যাংককের উদ্দেশ্যে রওনা দিচ্ছেন।
অলিক বলেন, ‘অবশেষে না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন আমাদের প্রিয় নির্মাতা আমজাদ হোসেন। তাকে কখন কীভাবে দেশে নিয়ে আসা হবে এ বিষয়ে আলাপ আলোচনা চলছে।’
১৮ নভেম্বর সকালে আদাবরের বাসায় ব্রেন স্ট্রোক করেন আমজাদ হোসেন। দ্রুত তাকে ইমপালস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শুরু থেকেই তিনি হাসপাতালের আইসিইউ বিভাগের লাইফ সাপোর্টে ভর্তি ছিলেন। আমজাদ হোসেনের উন্নত চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে ৪২ লাখ টাকা প্রদান করেন। এরপর তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানেই মারা গেছেন তিনি।
তার বয়স হয়েছিলো ৭৬ বছর। তার মৃত্যুতে চলচ্চিত্রসহ শোবিজের নানা অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
১৯৪২ সালের ১৪ আগস্ট জামালপুরে জন্ম করেন আমজাদ হোসেন। এই চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব একাধারে চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক, গল্পকার, অভিনেতা, গীতিকার ও সাহিত্যিক হিসেবে সফলতা পেয়েছেন।
আমজাদ হোসেন ১৯৬১ সালে ‘হারানো দিন’ চলচ্চিত্রে অভিনয় দিয়ে চলচ্চিত্র শুরু করেন তিনি। তার প্রথম পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘আগুন নিয়ে খেলা’ ১৯৬৭ সালে মুক্তি পায়। পরিচালক হিসেবে ‘নয়নমনি’ (১৯৭৬), গোলাপী এখন ট্রেনে (১৯৭৮), ভাত দে (১৯৮৪) তার উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র।
‘গোলাপী এখন ট্রেনে’ ও ‘ভাত দে’ চলচ্চিত্রের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ পরিচালক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও অর্জন করেন।
১৯৭৬ সালে ‘নয়নমনি’ চলচ্চিত্রের জন্য পেয়েছেন তিনটি জাতীয় পুরস্কার। তার হাতে ওঠে শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার, শ্রেষ্ঠ প্রযোজক আর শ্রেষ্ঠ পরিচালকের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।
বাংলাদেশ সরকার তাকে দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান একুশে পদক ও স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত করেছে।
আমজাদ হোসেনের দুই পুত্র নাট্য নির্মাতা সাজ্জাদ হোসেন দোদুল ও অভিনেতা-নির্মাতা সোহেল আরমান।
সতর্কবাণীঃ এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।
No comments:
Post a Comment