মাদারীপুরের শিবচরে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ - SongbadProtidin24Online.com

সর্বশেষ সংবাদ

SongbadProtidin24Online.com

সবার আগে নতুন সংবাদ প্রতিদিন

আপনার প্রতিষ্ঠানের জন্য বিজ্ঞাপন দিন

test banner

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Friday, August 21, 2020

মাদারীপুরের শিবচরে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ

মাদারীপুর প্রতিনিধিঃ মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার শিবচর ইউনিয়নের চরসামাইল গ্রামে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা খুরশিদা বেগমকে (৩৫) নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। 
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে স্বামীর বাড়িতে। 
শিবচর থানার পুলিশ ওই নারীর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শুক্রবার সকালে মাদারীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। 
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার শিবচর ইউনিয়নের চরসামাইল গ্রামের মোসলেম মৃধার ছেলে আব্বাস আলী মৃধার সাথে ১২ বছর পূর্বে বিয়ে হয় গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার করপাড়া গ্রামের রাজ্জাক ফকিরের মেয়ে খুরশিদা বেগমের সাথে। তাদের ঘরে এক ছেলে ও মেয়ে রয়েছে। 
খুরশিদা বেগম সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। গত দুই বছর ধরে খুরশিদার পরিবারের কাছে চাকরির জন্য টাকা চেয়ে আসছিল স্বামী আব্বাস মৃধা। এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে মনমালিন্য চলছিল। এরই জের ধরে খুরশিদাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে নিহতের পরিবারের অভিযোগ। 
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে এ ঘটনা ঘটিয়ে রাত ১১টার দিকে খুরশিদার বাপের বাড়িতে মোবাইলের মাধ্যমে জানানো হয় সে রান্নাঘরের আড়ার সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। 
খুরশিদা বেগমের চাচাতো ভাই ইকবাল মাহমুদ ফকির বলেন, আমার বোনকে আব্বাস তার পরিবারের লোকজন দিয়ে নির্যাতন করে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। তার মুখে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন আছে। যে রান্না ঘরের আড়ার সাথে রশি দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার কথা বলেছে শ্বশুর বাড়ির লোকজন। সে রান্না ঘরের মধ্যে একজন লোক সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারবে না। তাহলে কিভাবে রশি দিয়ে আত্মহত্যা করলো সে? আমার বোনের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই। 
মাদারীপুর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (শিবচর-রাজৈর সার্কেল) মো. আবির হোসেন বলেন, আমাদের শিবচর থানার পুলিশ একজন নারীর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে নিয়ে গেছে। ওই নারী সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। এছাড়াও তার এক ছেলে ও মেয়ে আছে। ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক কলহের কারণে এ ঘটনা হতে পারে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে বুঝতে পারবো এটা হত্যা না আত্মহত্যা। এ ঘটনায় আমাদের তদন্ত চলছে।
সতর্কবাণীঃ এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad

Responsive Ads Here