মাদারীপুরে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু - SongbadProtidin24Online.com

songbad+cover

সবার আগে নতুন সংবাদ প্রতিদিন

আপনার প্রতিষ্ঠানের জন্য বিজ্ঞাপন দিন

demo-image

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Post Top Ad

Friday, September 11, 2020

মাদারীপুরে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু

Responsive Ads Here
Madaripur1
মাদারীপুর প্রতিনিধিঃ মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার টেকেরহাট বন্দর আবাসিক এলাকায় লাভলী বেগম (২৩) নামে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে ।
গৃহবধূর পরিবারের দাবি, শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে হত্যা করেছে। বুধবার রাত সাড়ে ৯টায় এ ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তর জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার ছাগলছিড়া গ্রামের মৃত হাসু মোল্লার মেয়ে লাভলি বেগমের সঙ্গে প্রায় ৭ বছর পূর্বে রাজৈর উপজেলার টেকেরহাট আবাসিক এলাকার মজিবর সরদারের ছেলে সৌদিপ্রবাসী আজাদ সরদারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে স্বামীর বাড়ির লোকজনের সঙ্গে পারিবারিক কলহ চলে আসছিল গৃহবধূ লাভলির।
এরই জের ধরে বুধবার রাত সাড়ে ৯টার সময় গৃহবধূ লাভলি বেগম সৌদিপ্রবাসী স্বামী আজাদের সঙ্গে মোবাইলে কথাকাটাকাটির এক পর্যায় ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করে। পরে বাড়ির লোকজন টের পেয়ে গৃহবধূ লাভলি বেগমকে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাত ১১টার দিকে মারা যায় ।
গৃহবধূ লাভলি বেগমের ভাই রাসেল মোল্লা জানায়, আমার বোনকে ওর শ্বশুর বাড়ির লোকজন শারীরিক নির্যাতন করে হত্যা করেছে। আমি এর সঠিক বিচার চাই।
গৃহবধূর শ্বশুর মজিবর সরদার তাদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ অস্বীকার করে জানান,  সৌদিপ্রবাসী আমার ছেলে আজাদের সঙ্গে মোবাইলে কথাকাটাকাটির পর গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করার চেষ্টার খবর পেয়ে আমি বউকে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যায়।
রাজৈর থানার ওসি শেখ সাদী জানান, এক গৃহবধূর মৃত্যুর ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর আসল রহস্য জানার পর পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।
সতর্কবাণীঃ এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি এবং ভিডিও কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad